রাজশাহীতে ঈদের জামাত কোথায় কখন

রাজশাহীতে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল হলে একই সময়ে জামাত স্থানান্তরিত হবে হযরত শাহ মখদুম (রহ.) দরগা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে।

ধারণা করা হচ্ছে, দরগা মসজিদে স্থানান্তরিত হলে মুসল্লির সংখ্যা বেশি হবে। তাই ৩০ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন-শাহ মখদুম রূপোশ (রহ.) দরগা স্টেটের তত্ত্বাবধায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা।

জানা গেছে, প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন, নগরের রাজারহাতা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. কাওসার হোসাইন। তাকে সহযোগিতা করবেন, তেরোখাদিয়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম মোহাম্মদ সোয়েব হোসেন।

এছাড়া রাজশাহীতে ঈদের দ্বিতীয় প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় মহানগর ঈদগাহ (টিকাপাড়া) অনুষ্ঠিত হবে। এখানে দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় হবে। বৃষ্টি হলে পাশের টিকাপাড়া মোহাম্মপুর জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

সকাল সোয়া ৮টায় রাজশাহীর তৃতীয় বড় ঈদ জামাত হবে নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে, যেখানে প্রধান সড়কের ওপর একটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। অপরদিকে, সকাল ৮টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জামাত হবে। প্রথমবারের মতো এখানে নারীদের জন্য পৃথক প্রবেশপথ ও প্যান্ডেল নির্ধারণ করা হয়েছে। নারীরা বিএনসিসি গেট দিয়ে প্রবেশ করে একই গেট দিয়ে বের হবেন। এছাড়া রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) জামে মসজিদে ঈদের জামাত হবে সকাল ৭টায়। রাজশাহীর বেশিরভাগ মসজিদে ঈদের জামাত সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসিরুদ্দিন শেখ জানান, ঈদের জামাত সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সমন্বয় সভা হয়েছে। তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বা জেলা প্রশাসন নির্দিষ্ট সময়সূচি নির্ধারণ করেনি। মসজিদ কমিটিগুলো নিজেদের সুবিধামতো সময় নির্ধারণ করে আগের দিন মাইকিংয়ের মাধ্যমে তা জানিয়ে দেবে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে পুলিশ। পোশাকে ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ নিরাপত্তার কাজ করবে। এবার ১০ রোজার পর থেকেই তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদের জামায়াতের ক্ষেত্রে সেটিই থাকবে।

শাহিনুল আশিক/এমএ