নাটোরে কমেছে সংক্রমণ, লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেই
নাটোরে গত সপ্তাহে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেলেও গত কয়েকদিন থেকে হার কিছুটা কমেছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ।
জেলা প্রশাসক ঢাকা পোস্টকে বলেন, সংক্রমণ কমায় নাটোরে আপাতত লকডাউনের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। তবে বৃদ্ধি পেলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে ৩২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩০ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। পরিসংখ্যান বলছে, ১১ মে থেকে ১৬ মে এক সপ্তাহে মোট ১৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল। ১৭ মে থেকে ২৩ মে এক সপ্তাহে হঠাৎ করেই শনাক্ত হয় ৪৯ জন। আর এই সপ্তাহে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩০ জনের। রোববার (৩০ মে) আক্রান্ত ছিল ২৩ জন এবং সোমবার (৩১ মে) আক্রান্ত হয়েছে ১১ জন।
এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৭৪৭ জন, মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের, সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৯৩ জন এবং চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৩০ জন। জেলায় ৮৬ হাজার মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে টিকা শেষ হওয়ায় আপাতত কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান জানান, করোনাা মোকাবিলায় প্রশাসনের পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। জনগণকে বুঝতে হবে তাদের ঘরে থাকতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। আমরা প্রশাসনের সার্বিক সহায়তায় এ দুর্যোগ কাটিয়ে উঠার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নাটোরে প্রশাসনের কঠোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। হঠাৎ করে গত সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে নিয়মিত।
জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ বলেন, নাটোরে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ছিল। কিন্তু তা এখন কমেছে। তাই আপাতত লকডাউনের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। তবে বৃদ্ধি পেলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে জনপ্রতিনিধি, সিভিল সার্জনসহ আমরা বসে সিদ্ধান্ত নিব।
তিনি আরও বলেন, করোনার বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সব সময় জনগণের পাশে আছে। আমরা মাইকিংসহ নিয়মিত মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। প্রশাসনের সকল বিভাগ একযোগে মাঠে রয়েছে। জনগণকে বিষয়টি বুঝতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে।
তাপস কুমার/এসপি