‘নির্বাচনের জিকির শুনাইয়া লাভ নাই, আমরা রক্ত দিতে শিখে গেছি’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব মু. নিজাম উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচনের জিকির শুনাইয়া লাভ নাই। আমরা রক্ত দিতে শিখে গেছি। যে জাতি একবার রক্ত দিতে শিখে গেছে তাদেরকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না। আগামীতে আমাদেরকে কেউ দমায়ে রাখতে পারবে না।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৯ মার্চ) বিকেলে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা পরিষদের সামনে এক পথসভায় তিনি এ কথা করেন।
তিনি বলেন, আমি সেনবাগের সন্তান। গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখ সাড়িতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। আমার চোখের সামনে যাত্রাবাড়ীতে ৩০ থেকে ৪০ জনকে শহীদ হতে দেখেছি। অসংখ্য মানুষকে আমার ডানে বামে সামনে পেছনে আহত হতে দেখেছি। হয়ত সে আন্দোলনে আমি নিজেও বুলেটবিদ্ধ হয়ে শহীদ হতে পারতাম। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। আমি এখন বোনাস লাইফে আছি। সুতরাং যারা বোনাস লাইফে আছে তাদেরকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে লাভ নাই।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আমাকে এমনও বলা হয়েছে সেনবাগে ঢুকতে দেওয়া হবে না। আমি সেনবাগে এসেছি এবং সেনবাগে বারবার আসবো। নতুন করে বাংলাদেশকে নব্য ফ্যাসিস্টদের হাতে দেওয়া হবে না। আমরা সংখ্যায় কম হতে পারি, বয়সে কম হতে পারি কিন্তু আমাদের স্বপ্ন অনেক দূর। আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি, আমরা বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবো। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে দুই হাজার শহীদের আকাঙ্ক্ষা সামনে রেখে।
নিজাম উদ্দিন বলেন, শুধুমাত্র ভোটের জন্য এই অভ্যুত্থান হয়নি। শুধুমাত্র একটা নির্বাচনের জন্য দুই হাজার শহীদ জীবন দেয়নি। যারা ভোট ভোট নির্বাচন করে জিকির করতেছেন তাদেরকে বলে দিতে চাই গত ১৫ বছর ভোটের জন্য কেন হাসিনার পতন ঘটাতে পারলেন না। কেন গত ১৫ বছর তিনটা ইলেকশন থামাতে পারলেন না। কেন ২৮ অক্টোবর ঢাকা শহরে লক্ষ লক্ষ লোক নিয়ে ১০ মিনিট রাস্তায় স্থায়ী হতে পারলেন না?
বিজ্ঞাপন
এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জাহিদুল ইসলাম সৈকত, নোয়াখালী জেলার এক্সিকিউটিভ টিম সদস্য মো. মামুন হোসাইনসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
হাসিব আল আমিন/আরএআর