সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে গাড়ির চাপ, নেই ভোগান্তি

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। এতে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার যমুনা সেতুর পশ্চিমপাড়ে সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। এর মধ্যে ঈদযাত্রার শেষ মুহূর্তে এসে বেড়েছে খোলা ট্রাক-পিকআপে চলাচল করা মানুষের সংখ্যা। তবে যানবাহনের চাপ বাড়লেও যানজট বা ধীরগতি না থাকায় স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৯ মার্চ) সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কড্ডার মোড়, মুলিবাড়ি চেকপোস্ট, নলকা, হাটিকুমরুল গোল-চত্বরসহ যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কে যানজটের দেখা মেলেনি। অনেকে যাত্রীবাহী যানের পাশাপাশি ট্রাক, পিকআপ ও মোটরসাইকেলে করেও যাত্রা করেছেন। ভোগান্তি ছাড়াই স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন উত্তরের ও দক্ষিণের যাত্রীরা। মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও চিরচেনা যানজটের এই মহাসড়কে স্বাভাবিক গতিতেই চলছে যানবাহন।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কসহ জেলার চারটি মহাসড়কে ১ হাজার ৭০ জন পুলিশ কাজ করছে। এর মধ্যে জেলা পুলিশের ৬৪৮ জন, হাইওয়ে পুলিশের ৩২২ জন ও এপিবিএনের ১০০ জন রয়েছে। পাশাপাশি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখাসহ সেনাবাহিনী মহাসড়কের সার্বিক নিরাপত্তায় রয়েছে। সেই সঙ্গে মহাসড়কে ৪৫টি মোবাইল টিম ও ৫৬টি পিকেট টিম, যান চলাচল মনিটর করতে হাটিকুমরুল গোলচত্বর ও ঝাঐল ওভারব্রিজে দুটি ড্রোন ক্যামেরা প্রস্তুত রয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন অপসারণে বিভিন্ন স্থানে রাখা হয়েছে রেকার।
বিজ্ঞাপন
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যানবাহনের চাপ অনেকটাই বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে বিভিন্ন পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ায় পর থেকেই কয়েকগুণ যানবাহনের চাপ বেড়েছে এই মহাসড়কে। এবারের ঈদযাত্রায় কোনো দুর্ভোগ ছাড়াই ঘরে ফিরবে মানুষ।
বগুড়া রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশের এসপি শহীদুল্লাহ বলেন, এখন পর্যন্ত মহাসড়কের কোনো স্থানে যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। ঢাকা-উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহন দুই লেন দিয়েই স্বাভাবিকভাবে চলছে। এবারের ঈদযাত্রায় উত্তরের ঘরমুখো মানুষের সমস্যা হয়নি।
আরএআর