পুলিশ ফাঁড়ির পাশেই গলায় ছুরি ধরে ছিনতাই, ২ জন আটক

পুলিশ ফাঁড়ির পাঁচশ গজের মধ্যে গলায় ছুরি ধরে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটী ইউনিয়নের বংকিরা গ্রামের হাওনঘাটা মাঠে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
ছিনতাইকারীরা আজমুল হোসেন নামে এক পথচারীর কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় লিটন সরদার ও শামীম নামে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসী।
আটক লিটন সরদার পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জীবনা গ্রামের বজলুর সরদারের ছেলে এবং শামীম একই গ্রামের ফনে সরদারের ছেলে।
ছিনতাই শেষে একই গ্রামের হিরেণ সরদারের ছেলে সজিব সরদারসহ অজ্ঞাত আরও এক ছিনতাইকারী পালিয়ে যায় বলে আটক লিটন পুলিশকে জানিয়েছে।
বংকিরা গ্রামের সেলিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজমুল হোসেন বংকিরা গ্রামের জামাই। চুয়াডাঙ্গার বদরগঞ্জ আক্কাস লেক ভিউ পার্কে কাজ শেষে জামাই শ্বশুরবাড়ি ফিরছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে চারজন ছিনতাইকারী তার পথরোধ করে। এ সময় ছিনতাইকারীরা তার গলায় ছুরি ধরে কাছে থাকা ১২ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল নিয়ে যায়। সেসময় বংকিরা গ্রামের কৃষক ডালিম মন্ডল মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার সময় ছিনতাইকারী লিটন সরদারের ব্যাগে ছুরি দেখে বংকিরা পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আলমগীরকে খবর দেয়। তখন গ্রামবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ ছিনতাইকাদীর আটক করে সদর থানায় সোপর্দ করে।
এএসআই আলমগীর হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজমুল আক্কাস লেক ভিউ পার্কে চাকরি করে। সেখান থেকে বেতনের টাকা নিয়ে বংকিরা গ্রামে আসছিল। পথিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে চারজন ছিনতাইকারী তার কাছে থাকা নগদ ১২ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ছিনতাইকারীরা চলে গেলে গ্রামের ডালিম মন্ডল ও আজমুল আমাদের খবর দেয়। আমরা গ্রামবাসীর সহযোগিতায় পুরো এলাকা ঘিরে ফেলি। এসময় লিটন সরদার নামে এক ছিনতাইকারীকে আটক করি। পরে তার স্বীকারোক্তিতে শামীম নামে আরেকজন ছিনতাইকারীকেও আটক করা হয়।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বংকিরা গ্রামের মাঠ থেকে লিটন ও শামীম নামে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। ছিনতাইকারীরা পার্শ্ববর্তী জেলার বাসিন্দা। পুলিশ তৎপর ছিল বলেই ছিনতাইয়ের পরপরই তাদের আটক করা সম্ভব হয়েছে। এ বিষয়ে সদর থানায় একটি নিয়মিত মামলা হবে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন/আরকে