ঈদ উদযাপনে মধ্যরাতেও ঘরে ফিরছে মানুষ

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মাঝরাতেও ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেড়েছে। সড়কে যানবাহনের চাপ কিছুটা বাড়লেও যানজট না থাকায় ঈদ উদযাপনে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছে মানুষজন।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাত দেড়টার দিকে মহাসড়কের ফেনীর মহিপালে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রিদওয়ানুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, অন্যান্য বছর এমন সময়ে ঢাকা থেকে ফেনী পর্যন্ত পৌঁছাতে দ্বিগুণ সময় লাগলেও আজ একদম ভিন্ন চিত্র। সড়কে কিছুটা গাড়ির চাপ থাকলেও যানজট ছিল না। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের জন্যই মধ্যরাতে বাড়ি ফিরছি।
বিজ্ঞাপন
সায়েদুল নামে আরেক যাত্রী বলেন, পরিবার ও ছোট-ছোট সন্তান নিয়ে বাসা থেকে বের হলেও যানজটের বিষয়ে চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু মাত্র তিন ঘণ্টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে ফেনী এসেছি। ঢাকা থেকে বের হতে কিছুটা গাড়ির চাপ থাকলেও পরবর্তী সড়ক ফাঁকা ছিল। তবে গাড়ির টিকিট পেতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে।
শাহিন আলম নামে শ্যামলী ট্রাভেলসের এক বাসচালক বলেন, অন্যান্য বারের চেয়ে এবার সড়কে গাড়ি চালিয়ে অনেকটা স্বস্তি পাচ্ছি। এছাড়া মহাসড়কের মহিপালে ছয় লেনের ফ্লাইওভারের কারণে যানজট অনেকটাই কমেছে। এ ফ্লাইওভার দিয়ে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো দ্রুত চলাচল করছে। ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে আঞ্চলিক গাড়িগুলো জেলা পর্যায়ে চলাচল করছে। এতে যাত্রীরাও আগের মতো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
অন্যদিকে ফেনী থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলোও ফাঁকা দেখা গেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রফিক নামের এক কর্মচারী বলেন, শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যাত্রীর চাপ ছিল। রাতে যাত্রী না থাকায় আমরাও অলস সময় পার করছি।
এ ব্যাপারে মহিপাল হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, মহাসড়কের ফেনীর ২৬ কিলোমিটার অংশে যানজট নেই। মানুষের নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফেরা নিশ্চিতে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক যানজটমুক্ত রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে পুলিশ সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করছে।
তারেক চৌধুরী/এমএন