জামিনে বের হয়ে দুধ দিয়ে গোসল করলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

রাজবাড়ীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে দুধ দিয়ে গোসল করলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম এরশাদ (৪০)।
বিজ্ঞাপন
যুবলীগ নেতার দুধ দিয়ে গোসল করার ৫১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যার পর ৫১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম এরশাদকে তার মা দুধ দিয়ে নিজে হাতে গোসল করিয়ে দিচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম এরশাদ তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেন। ওই স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আমার মা মানত করেছিলেন মিথ্যা মামলা থেকে জামিন পেলে দুধ দিয়ে গোসল করাবেন। দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আমাকে আশীর্বাদ করেন, মায়ের দোয়া নিয়ে আগামী দিনে আমার পথ চলা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ রাজনীতি ধারণ করে আগামী দিনের রাজনীতি করব ইনশাআল্লাহ জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা বলেন, সাইফুল ইসলাম এরশাদকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। গত ২৬ তারিখ তিনি জামিনে কারাগার থেকে মুক্ত হন। এরশাদের মা মানত করেছিলেন ছেলে কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বাড়িতে আসলে দুধ দিয়ে গোসল করাবেন। তাই শুক্রবার দুপুরে তার মা তাকে দুধ দিয়ে গোসল করান।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
জানা গেছে, রাজবাড়ীতে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৮টার দিকে সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের কামালদিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ। রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলার সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলি বর্ষণের অভিযোগে গত ২ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থী জিসান খান বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ২০ মার্চ পুলিশ তাকে আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) তার জামিন মঞ্জুর করে আদালতের বিচারক। বুধবার (২৬ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হন।
সাইফুল ইসলাম এরশাদ সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের সিংগা বাজার এলাকার মৃত ইসলাম শেখের ছেলে। তিনি রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এমএন