দখল-চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির ৭ নেতাকর্মীকে শোকজ

মাগুরায় বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৭ সদস্যকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিএনপি মাগুরা জেলা শাখা।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) নানা অভিযোগের ভিত্তিতে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ করায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহম্মেদ ও সদস্য সচিব মো. মনোয়ার হোসেন খান স্বাক্ষরিত জেলা বিএনপির প্যাডে এই কারণ দর্শানোর নোটিশটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে প্রকাশিত হয়।
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তারা হলেন- শ্রীপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর, বিএনপি নেতা খন্দকার খলিলুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব বদরুল আলম লিটু, শ্রীপুর উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সেলিম মোল্লা, বিএনপি কর্মীর সাচ্চু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য রাতুল। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, শ্রীপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর, বিএনপি নেতা খন্দকার খলিলুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন ও শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সেলিম মোল্লার বিরুদ্ধে সরকারি জায়গার গাছ কাটা, চাঁদাবাজি, চর দখল, এমনকি ডাকাতি ও মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও সংগঠন পরিপন্থী কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া বিএনপি নেতা সাচ্চুর বিরুদ্ধে অভিযোগ হিসেবে লেখা হয়েছে গরু চুরি, গাছ কাটা, ভ্যান চুরি, অন্যের গাছ কাটা, অন্যের জমি দখল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য রাতুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ হিসেবে লেখা হয়েছে চর দখল, তেল চুরি, গাছ কাটা, ভ্যান চুরি, অন্যের জমি দখল।
বিজ্ঞাপন
কারণ দর্শানোর নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে জেলা বিএনপির শ্রীপুর থানাস্থ সম্মানিত সদস্যরা জেলা বিএনপির সম্প্রতি মিটিংয়ে আপনাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে আপনাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপি ও তাহার কেন্দ্রীয় অঙ্গ সংগঠনের কাছে কেন সুপারিশ করা হবে না, তা আগামী ৭ দিনের মধ্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারীদ্বয়ের নিকট লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া গেল।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলি আহম্মেদ বলেন, তাদের বিরুদ্ধে যেহেতু অভিযোগ এসেছে আমরা তাদেরকে নোটিশ করেছি। আগামী ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। দুর্নীতিবাজ যেই হোক দলের সে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলেও তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।
তাছিন জামান/আরকে