‘ভারতের ইশারায় ৫৭ জন সেনা অফিসারকে হাসিনা মেরে ফেলেছে’

বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক শাহাজাহান মিঞা বলেছেন, হাসিনার আমলে আমরা এতদিন সত্যিকারের স্বাধীন ছিলাম না। ভারতের ইশারায় ও ইচ্ছায় আমাদের সাহসী ৫৭ জন চৌকস অফিসারকে হাসিনা মেরে ফেলেছে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৬ মার্চ) শ্যামপুর হাজী মমতাজ উদ্দিন মিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর বিএনপির আয়োজনে ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
বিগত নির্বাচনগুলোর প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি মেজর দল। কিন্ত বিগত সরকারের আমলে বিএনপিসহ অন্যান্য দলকে বাদ দিয়ে হাসিনা নির্বাচন করেছিল মিথ্যা দিয়ে। সেটা কোনো ইলেকশন হয়নি। সে জোর করে ভোট কেটে ইলেকশন করেছিল। তাতে আপনারা কেউ ভোট দিতে পারেননি। আজকে যদি নির্বাচনটা সঠিক হতো এবং ক্ষমতার পালাবদল হতো তাহলে আজকে হাসিনার এই অবস্থা হতো না। আল্লাহ বলেছেন, সীমা লঙ্ঘনকারীকে আমি পছন্দ করি না। হাসিনা এই ফ্যাসিস্ট সরকার সীমা লঙ্ঘন করে গিয়েছিল। তাই আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমরা কোনো দলকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে চাই না। কিন্ত যারা অন্যায় ও অপরাধ করেছে তাদেরকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
বিজ্ঞাপন
হাসিনা সরকারের আমলের দুর্নীতি লুটপাটের অভিযোগ তুলে বিএনপির এই উপদেষ্টা আরও বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) সবসময় বলতো উন্নয়ন করে দেশকে ভাসিয়ে দিয়েছে। কিন্ত তারা সমস্ত ব্যাংক থেকে লুটপাট করে কোটি কোটি টাকা তারা বিদেশে পাচার করেছে। এই দেশকে শেষ করে দিয়েছে এবং দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে একেবারে ভেঙে শেষ করে দিয়েছে। তাই আমাদের সজাগ থাকতে হবে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা যেন কোনো রকম অজুহাত সৃষ্টি করে এই দেশে আসতে না পারে।
জুলাই আগস্টের শহীদের স্মরণ করে অধ্যাপক শাহাজাহান মিঞা বলেন, যেসব ভাইয়েরা দুর্বার আন্দোলন করে শহীদ হয়ে এবং আহত হয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার থেকে মুক্ত আমাদের করেছে তাদেরকে আমি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি এবং তাদের সবার মাগফিরাত কামনা করছি। আমরা কখনোই চিন্তা করিনি হাসিনা এতো তাড়াতাড়ি দেশ থেকে পালিয়ে যাবে। এটা আল্লাহর রহমত। হাসিনার আমলে আমরা সত্যিকারের স্বাধীন ছিলাম না।
বিজ্ঞাপন
শ্যামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আশরাফুল হক, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তোসিকুল আলম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল হক হায়দারী শহিদ মিয়া, শ্যামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও শ্যামপুর ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান খাইরুল ইসলাম, শিবগঞ্জ পৌর সদস্য সচিব আলমগীর কবির জুয়েলসহ প্রমুখ।
আশিক আলী/আরকে