সোনাইমুড়ীর সেই শিশুকে ধর্ষণকারী বাদশা গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় নয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের প্রধান আসামি রেজাউল করিম বাদশাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে রোববার (২৩ মার্চ) মধ্যরাতে ভুক্তভোগীর মা মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাৎক্ষণিক রেজাউল করিম বাদশাকে গ্রেপ্তার করে।
বিজ্ঞাপন
গ্রেপ্তারকৃত রেজাউল করিম বাদশা সোনাইমুড়ী উপজেলার নদনা ইউনিয়নের উত্তর শাকতলা গ্রামের মিজি বাড়ির ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণের সাথে কেবল বাদশা নয় তার ভাই সবুজসহ মোট চারজন জড়িত। তবে তারা স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় তাদের আসামি করতে পারেনি। যদিও পুলিশ ওই চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। ভুক্তভোগীর মা চাপে পড়ে তাদের ছাড়িয়ে নেন। তারপর আবার অভিযোগ দিলে পূর্বে ছেড়ে দেওয়া বাদশাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
শিশুটির মা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার মেয়ে এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমার মেয়ের সাথে অন্যায় হয়েছে। আমি বিচার চাই। তবে আমি সামাজিকতাকে ভয় পেয়েছিলাম ফলে অভিযোগ দিতে দেরি হয়েছে।
সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদ আলম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, রাত তিনটায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় একজনই আসামি। মূলত বাদশা দোকানে শিশুটিকে টেনে নিয়ে যায়। তারপর ধর্ষণ শেষে মেয়েকে বের করে দিয়ে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়। আমরা বাদশাকে আদালতে সোপর্দ করেছি। তারপর বিজ্ঞ বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণ করে।
হাসিব আল আমিন/এমএএস