ধূমকেতু-বাংলাবান্ধা ট্রেনের সংঘর্ষ : তদন্ত শেষ হয়নি ৯ দিনেও

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ধূমকেতু ও বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে গত ১৫ মার্চ। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কমিটির তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘটনার ৯ দিনেও শেষ হয়নি তদন্ত, জমা পড়েনি প্রতিবেদন।
বিজ্ঞাপন
ঘটনার দিন রাতে রেলওয়ের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুল আওয়াল তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। এই কমিটির সদস্যরা হলেন—বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মোছা. হাসিনা খাতুন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আশিশ কুমার, বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মন্ডল।
তদন্ত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে রোববার (২৩ মার্চ) বিকেলে কথা হয় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মন্ডলের সঙ্গে। তিনি বলেন, তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে এএলএম ও সান্টিং পিম্যান দুজনের কথার সঙ্গে মিল পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনার সময়ে তারা দুজনে মুঠোফোনে কথা বলেছিলেন। তাই আমরা সেই সময়ের কল রেকর্ড চেয়েছি ফোন কোম্পানির থেকে। তারা কল রেকর্ড দিলে; তারপরে শুনে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে। এ ছাড়া তারা যদি না দেয়, তাহলে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, ধূমকেতু ও বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে যখন এএলএম ও সান্টিং পিম্যানের বক্তব্যে মিল পাওয়া গেল না। তখনই বিষয়টি পাকশী রেলওয়ে পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে ফোন কোম্পানির থেকে সেই সময়ের কল রেকর্ড চাওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।
বিজ্ঞাপন
পাকশী রেলওয়ে পুলিশ সুপারকে পাঠানো বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মন্ডলের চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী স্টেশনে বাংলাবান্ধা ও ধুমকেতু ট্রেন দুটির মধ্যে সাইড কলিশান হয়। এর আগে সান্টিং পিম্যান মো. হুমায়ুন কবির ও এএলএম মোহাইমিনুলের মধ্যে ১টা ৫৪ মিনিটে ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ড কথপোকথন হয়। উক্ত কথপোকথনের অডিও কল রেকর্ড গ্রামীনফোন কাস্টমার কেয়ার থেকে নিয়ে তাকে প্রদানের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ দুপুর আড়াইটার দিকে দুটি ট্রেনের একটি পরিষ্কারের জন্য ওয়াশপিটে যাচ্ছিল, অন্যটি ওয়াশপিট থেকে বের হচ্ছিল। এ সময় সংঘর্ষে একটি ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে স্টেশন এলাকায় হওয়ায় বিকল্প লাইন থাকায় ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। এ ছাড়া লাইনচ্যুত বগি যাত্রীবিহীন থাকায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ট্রেন উদ্ধার হলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধারকারী ক্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেসের বগিগুলো উদ্ধার করে।
শাহিনুল আশিক/এএমকে