পাবনা মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের বিতর্কিত কমিটি স্থগিত

সংবাদ প্রকাশের পর ছাত্রলীগ নেতাদের পুনর্বাসন করা পাবনা মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত বিতর্কিত কমিটি স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাসির স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, পাবনা মেডিকেল কলেজ শাখার ঘোষিত কমিটি স্থগিত করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ প্রদান না করা পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।
এর আগে, রোববার দুপুরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পাবনা মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের ২২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেন। ২২ সদস্যের এই কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ পদেই নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ১১ জন নেতাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন
পাবনা মেডিকেল কলেজের নবগঠিত ছাত্রদলের কমিটি এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বঙ্গবন্ধু হল শাখার পূর্বের কমিটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শাখা ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান শুভ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কলেজের হল শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, সিনিয়র সহসভাপতি আমিমুল আহসান তনিম ছিলেন তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক, সহসভাপতি রাহুল রায় ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ আল ফায়াদ ছিলেন ছাত্রলীগের গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত ছিলেন ছাত্রলীগের আপ্যায়নবিষয়ক সম্পাদক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম ছিলেন ছাত্রলীগেরও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, আরেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ছিলেন ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক, আরেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাসরীফ আলম ছিলেন হল ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক।
এ ছাড়া নবনির্বাচিত যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক স্বাধীন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাবিল, প্রচার সম্পাদক সামিন রাফিদ আরোহ ছিলেন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী।
এ বিষয়ে নবগঠিত ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান শুভ বলেন, আমি কখনো ছাত্রলীগ করতাম না। কিন্তু ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কলেজে যারা অ্যাকটিভ ছিল তাদেরকেই কমিটিতে সরাসরি অ্যাড করে দিয়েছিলেন। আমার অনুমতি না নিয়েই তারা আমাকে ছাত্রলীগের হল কমিটিতে রেখেছিলেন।
তবে নবনির্বাচিত সভাপতি সাগর মাহমুদ জানান, তাদের অজান্তেই হল কমিটিতে নাম ছিল, কিন্তু জুলাই আন্দোলনে পদত্যাগসহ তাদেরও ভূমিকা ছিল। আন্দোলনের পরপরই ওই কমিটিতে কীভাবে নাম আসলো তা ক্লিয়ার করেছেন। তারা পদত্যাগ অনেক আগেই করেছেন বা সেগুলো নিয়ে আমাদের কাছে ক্লিয়ার ভিডিও আছে। এটা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।
এ ব্যাপারে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাসিরের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাই তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাকিব হাসনাত/এএমকে