মিথ্যা মামলা দিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ, এসআইকে অবরুদ্ধ

সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে মিথ্যা মামলা ও ক্রসফায়ারের নামে লাখ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগে নোয়াখালীর আদালতে মামলার সাক্ষ্য দিতে এসে যুবদলের নেতা–কর্মীদের তোপের মুখে পড়েছেন ঢাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন দত্ত। তাকে দীর্ঘ সময় ধরে অবরুদ্ধ রাখা হয়। রোববার (২৩ মার্চ) দুপুরে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এসআই লিটন দত্ত আ. লীগ সরকারের আমলে নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানায় কর্মরত ছিলেন। পরে অন্যত্র বদলি হওয়ার পরও তিনি আবার সুধারাম মডেল থানায় যোগদান করেন। ওই থানায় কর্মরত অবস্থায় তার বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের নেতা–কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার লোকজনকে বিনা কারণে হয়রানি ও নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
শহর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল খায়ের সোহেল বলেন, আ. লীগ সরকারের সময় এসআই লিটন সুধারাম মডেল থানায় কর্মরত ছিলেন। সে সময় বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মিথ্যা মামলা করেন তিনি। একটি হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলায় নাম না থাকা সত্ত্বেও অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে দেখিয়ে আমাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় করেন লিটন।
বিজ্ঞাপন
আবুল খায়ের সোহেল আরও বলেন, লিটন বিএনপির অনেক নেতা–কর্মীকে ক্রসফায়ার দেওয়ার জন্য নিয়ে গিয়ে অর্থ আদায় করে ছিলেন। আমাদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার পরও হয়রানি বন্ধ করেনি। তার ভয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেনি কেউ। দলীয় লোকজন ছাড়াও সাধারণ নারী–পুরুষদেরও হয়রানি করতেন তিনি। বাসাবাড়িতে তল্লাশির নামে লুটপাট করতেন তিনি।
আবুল খায়ের সোহেল আরও অভিযোগ করে বলেন, আমরা জানতে পারি তিনি ঢাকা থেকে আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসছেন। পরে আদালত থেকে বের হলে কাদির হানিফ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি এ এইচ বাহাদুর, শহর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান আনাজ, যুবদল নেতা মুরাদ, কোরবানসহ স্থানীয় লোকদের নিয়ে আমরা তার গতিরোধ করি। লিটন দত্তের কাছে আমাদের অর্থ ফেরত ও মিথ্যা মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি টালবাহানা শুরু করেন। এ সময় লোকজন ও নেতা–কর্মীরা তার ওপর চড়া হন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাকে নিয়ে যায়। আমরা যারা লিটনের হাতে অতীতে নির্যাতনের শিকার হয়েছি, লিটনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করব।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসি। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর লিটন দত্ত তার কর্মস্থলে ফিরে গেছেন।
হাসিব আল আমিন/এমটিআই