শখ থেকে নেশা, ক্যালিগ্রাফিতে তৌহিদের আয় লাখ টাকা

দেয়ালে দেয়ালে ক্যালিগ্রাফি। কেউ সেসব ক্যালিগ্রাফি ছুয়ে দেখছেন, আবার কেউ ক্যালিগ্রাফির সঙ্গে ছবি ছবি তুলছেন। ফেসবুকে ছবি দেখে ক্যালিগ্রাফি তৈরির শখ হয় নোয়াখালীর মো. তৌহিদ ওসমান অনুর। তারপর শিখে নিয়ে করেছেন বাজিমাত। ইসলামিক ক্যালিগ্রাফি তৈরি করে বর্তমানে তার মাসিক আয় প্রায় লাখ টাকা।
বিজ্ঞাপন
মো. তৌহিদ ওসমান অনু নোয়াখালীর সদর উপজেলার নিয়াজপুর ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের মো. হেলাল উদ্দিনের ছেলে। পড়াশোনা করছেন নোয়াখালী সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে।
জানা যায়, জুলাই বিপ্লবের পর ব্যস্ত সময় পার করছেন তৌহিদ ওসমান অনু। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে তৌহিদের ক্যালিগ্রাফি। তৌহিদ ইসলামি ক্যালিগ্রাফি আর্টের পাশাপাশি অনলাইন ও অফলাইনে কাজ করে আয় করছেন। বিভিন্ন সূরা আরবিতে ক্যালিগ্রাফি করে অনলাইন বিজনেসের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন বিভিন্ন জায়গায়। অবসর সময়ে আরবি ক্যালিগ্রাফি করে বেশ প্রশংসা অর্জন করেছেন তিনি। তৌহিদের এমন সাফল্যে খুশি তার সহপাঠী ও শিক্ষকরা।
বিজ্ঞাপন
মো. তৌহিদ ওসমান অনু ঢাকা পোস্টকে বলেন, গ্র্যাফিতি আগেও ছিল তবে জুলাই বিপ্লবের পর নতুন মাত্রা পায়। ছোটবেলা থেকেই আর্টের প্রতি আকর্ষণ ছিল। ক্যালিগ্রাফি নিয়ে আমার জার্নি প্রায় চার বছরের। আমি ফেসবুকে ছবি দেখে আগ্রহী হই। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উসামা ভাইয়ের কাছে এবং এশিয়াটিক সোসাইটিতে কোর্স করি। এক মাসে আমার সর্বোচ্চ লাখ টাকা আয় হয়েছে। কেউ যদি একনিষ্ঠভাবে কাজ করে প্রতি মাসে এক লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। দিন দিন ইসলামিক ক্যালিগ্রাফির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
আবুল হাসনাত রিজভী নামে এক শিক্ষার্থী ঢাকা পোস্টকে বলেন, তৌহিদ আমাদের কলেজের গর্ব। তার কাজ দেখে সবাই মুগ্ধ। সে অসাধারণ ক্যালিগ্রাফি আর্ট করে। তার ক্যালিগ্রাফির সাথে সবাই ছবি তোলে। নোয়াখালীর আশপাশে প্রায় সব প্রতিষ্ঠানে তার আর্ট রয়েছে। তাকে দেখে অনেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ক্যালিগ্রাফি শিখছে। তার সাফল্যে সবাই খুশি।
আরও পড়ুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা কমিটির আহ্বায়ক ও নোয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ক্যালিগ্রাফি অন্যরকম ভূমিকা রাখে। তৌহিদের দারুণ ক্যালিগ্রাফির কারণে আমাদের কলেজের সুনাম বেড়েছে। আমরা চাই সে যেন আরও সফলতার সাথে এগিয়ে যায়। আমরা সব সময় তার পাশে থাকবো।
নোয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মো. তৌহিদ ওসমান অনুর ক্যালিগ্রাফি বিভিন্ন স্থানে সমাদৃত হয়েছে। আমারা চাই তার এই ক্যালিগ্রাফি আরও ছড়িয়ে পড়ুক। তাকে কলেজ থেকে সব সময় সহযোগিতা করা হয়। তাদের একটা ক্লাব আছে যার মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। আমি তার সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
হাসিব আল আমিন/আরএআর