‘পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া যাবে না’

খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, দেশের সংবিধানকে ইচ্ছামতো কাটাছেঁড়া করে পতিত পলাতক স্বৈরাচার দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছিল। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে খেতাবি বা পুথিগত সংস্কারের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে অধিকার এবং আচরণের ব্যবহারিক প্রয়োগ। জনগণের গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্য দিয়ে কেবল সংস্কার প্রক্রিয়া টেকসই, সফল এবং কার্যকর হয়ে উঠতে পারে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া যাবে না। সুতরাং, সবার আগে প্রয়োজন জাতীয় নির্বাচন। নাগরিকরা রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালী না হলে কোনো সংস্কার টেকসই হবে না।
শনিবার (২১ রমজান) খুলনা ক্লাবে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার অবস্থান বজায় রাখতে হবে। কোনো মহলকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের এজেন্ডা যেন সরকারের কর্মপরিকল্পনার অংশ না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
বিজ্ঞাপন
মঞ্জু বলেন, যেহেতু সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া দুটোই একই সঙ্গে চলতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে একটি সংস্কার সনদ তৈরি হতেই পারে, নির্বাচিত সরকার পরবর্তীতে যা বাস্তবায়ন করবে। এখন অন্তর্বর্তী সরকারের মূলত করণীয় হচ্ছে- একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা এবং নির্বাচিত সরকারের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করা।
তিনি জাতীয়তাবাদী শক্তিকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে নিজের ঐক্য বজায় রেখে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহরুজ্জামান মোর্তুজা, খেলাফত মজলিশ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাওলানা নাসির উদ্দিন, জেলা খেলাফত মজলিশ সভাপতি মাওলানা এমদাদুল হকসহ অনেকে।
মোহাম্মদ মিলন/এমএসএ