ধর্ষণের শিকার নারী শ্রমিককে ‘১০০ টাকা’ দিয়ে চুপ থাকার হুমকি

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে ভাড়া বাসায় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী শ্রমিক। তিনি গাইবান্ধা থেকে মুন্সিগঞ্জে আলু তোলার কাজ করতে এসেছিলেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত ধর্ষক এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার বালিগাঁও গ্রামের প্রভাবশালী মোল্লা বাড়ির সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের ভাতিজা ও সামসুল মোল্লার ছেলে বাবু মোল্লা ওই নারী শ্রমিককে তার ভাড়া বাড়িতে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এরপর তাকে ১০০ টাকা দিয়ে ধর্ষণের ঘটনা চেপে রাখতে হুমকি ধামকি দেন। এছাড়া তাকে আরও টাকা দেওয়ার লোভ দেখান।
ধর্ষিতার স্বামী শনিবার (২২ মার্চ) ধর্ষণের অভিযোগ তুলে জানান, তাদের বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়। আলুর মৌসুমে শ্রমিকের কাজ করতে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মুন্সিগঞ্জে এসেছেন তিনি। তারা উপজেলার বালিগাঁও গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া থাকছিলেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে তার স্ত্রীকে ঘরে একা পেয়ে বাবু মোল্লা জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে ১০০ টাকা তার স্ত্রীকে দিয়ে এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার হুমকি দেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে বাবু মোল্লা পলাতক রয়েছে। অভিযুক্ত বাবু মোল্লার বাবা সামসুল মোল্লা ধর্ষণের স্বীকার নারীকে হুমকি-ধামকি দিয়ে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। নিরাপত্তা হুমকির কারণে ধর্ষণের শিকার পরিবারটি আত্মগোপনে রয়েছে।
তারা আরও জানান, ধর্ষক বাবু মোল্লা ও তার পরিবার এলাকায় প্রভাবশালী মানুষ। তাদের পরিবারের ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, “আমরা এ ঘটনায় বাবু মোল্লাকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি। এই দেশে কোনো ধর্ষকের ঠাঁই হবে না। বাবু মোল্লা পালিয়ে গেছে। সরকারের কাছে অনুরোধ করছি ধর্ষকের বিচার নিশ্চিত করুন।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ধর্ষক বাবু মোল্লার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
ধর্ষণ ঘটনার ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী থানার ওসি মহিদুল ইসলাম শনিবার রাত দশটার দিকে ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে। অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনা হবে।
ব. ম শামীম/এমটিআই