‘খুনিদের বিচারের আগে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই’

জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম বলেছেন, অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলন আমরা ব্যর্থ হতে দিতে চাই না। বিগত দিনে রাজপথে যেভাবে ছাত্রজনতাকে হত্যা করা হয়েছে। যারা হত্যা করেছে, খুনিদের এ খুনের সংস্কৃতি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত, বিগত দিনে যারা রাজনৈতিক পরিচয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে মানুষের পকেটের টাকায় নাগরিকদের ওপর গুলি চালিয়েছে, তাদের বিচার হওয়ার আগে বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই।
শুক্রবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের ঐতিহ্য কনভেনশন সেন্টারে সাংবাদিকদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখার ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়।
রেজাউল করিম আরও বলেন, আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি, সেই স্বপ্ন যেন ভূলুণ্ঠিত না হয়। সেজন্য রাজনীতিবিদ-সাংবাদিকসহ সকলকে সজাগ-সতর্ক থাকতে হবে। এক সাগর রক্ত পাড়ি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ, ২৪ এর আন্দোলনে গণতান্ত্রিক ধারায় ফেরার জন্য আমরা যে আয়োজন করেছি, লক্ষ্য করছি অনেক ধরনের সমস্যা এখনো জাতির সামনে আছে। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য জাতির দুটি গার্ডার যদি যথাযথভাবে কাজ করেন, তাহলে এ জাতির সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক ধারায় পৌঁছানো সম্ভব। এরমধ্যে একটি হচ্ছে রাজনীতিবিদ, অপরটি হচ্ছে যারা মানুষের সমস্যাকে জাতির সামনে তুলে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন আমাদের সাংবাদিক বন্ধু।
তিনি আরও বেলন, বাংলাদেশে ক্ষমতার লোভে বিগত দিনে বিভিন্ন ধরনের কথা বলে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করা হয়েছিল। সুতরাং সেই অধিকার যেন কোনোভাবে আর ক্ষুণ্ন না হয়। সেজন্য আমরা চারটি প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। বিগতদিনে যারা শহীদ হয়েছেন, অন্যায়-অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। সবার আগে সেই জুলুমের বিচার হতে হবে। যে সিস্টেমের কারণে গণতান্ত্রিকতার নামে স্বৈরতান্ত্রিকতা ডালপালা গজিয়ে দেশের মানবাধিকার-ভোটের অধিকার লুণ্ঠিত হয়েছে, সেজন্য একটি সংস্কার প্রয়োজন। সংস্কার ব্যতীত যারাই ক্ষমতায় আসবে তারাই পুলিশ-র্যাব দিয়ে তাদের মর্জিমতো নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবে। তৃণমূল পর্যন্ত ফ্যাসিবাদ আর দুর্নীতি পৌঁছে যাওয়ার কারণে স্থানীয় সরকার কাঠামো ভেঙে পড়েছে। এজন্য আমরা জামায়াতে ইসলামী মনে করি, স্থানীয় নির্বাচন হতে পারে, হওয়া প্রয়োজন।
জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট নজির আহমেদের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন— জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এআর হাফিজ উল্যাহ, সেক্রেটারি ফারুক হোসাইন নুরনবী, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মহসিন কবির মুরাদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা শাখার সভাপতি মমিন উল্যাহ পাটওয়ারী, লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবে সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেলসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এমএ