রাস্তা দখল করে কলার গাছ রোপনের অভিযোগ, নারীকে প্রাণনাশের হুমকি

বসত বাড়ির রাস্তা দখল করে কলার গাছ রোপনের অভিযোগ উঠেছে একটি পরিবারের বিরুদ্ধে। বাধা দিতে গেলে মোসা. শিরিনা নামের এক নারীকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার (১৯ মার্চ) গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগির ছেলে মো. আশিক থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আশিকের বাড়ির সামনে সরকারি রাস্তায় ক্ষমতার বলে কলার গাছ রোপন করেছেন একই গ্রামের দৌলত মিস্ত্রির ছেলে মোজাহার, তার মেয়ে জরিনা ও জিল্লুরের ছেলে মনিরুল। তাদের বাধা দিতে গেলে আশিকের মা মোসা. শিরিনাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তারা। এসময় তারা প্রাণনাশের হুমকি দেয় শিরিনাকে।
অভিযোগ সূত্রে আরও জানা গেছে, আশিকের বাড়ির সামনে থেকে বিভিন্ন সময় সরকারি বালু (পাকা রাস্তার পাশের সরকারি বাধের বালু) অভিযুক্তরা নিয়ে চলে যায়। এছাড়া ভুক্তভোগী আশিকদের জমি দখল করার জন্য মাঝে মধ্যে তারা সমস্যা সৃষ্টি করে। অভিযুক্তদের এরূপ আচরণে ভুক্তভোগীরা বিস্মিত। অভিযুক্তরা ক্ষমতার বলে মসজিদে স্থাপনকৃত মোটরের (সাবমাসিবল পাম্প) পানি আমাদের ২৯টি পরিবারকে ব্যবহার না করার জন্য হুমকি দেয়। যদিও ২৯টি পরিবার চাঁদা তুলে পানির মোটরটি (সাবমাসিবল পাম্প) স্থাপন করেছিল। এমতাবস্থায় তারা জীবনের নিরাপত্তাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আশিক।
আশিক বলেন, আমাদের বাড়ির জমি খাস। তবে আমাদের সরকারিভাবে লিজ নেওয়া আছে। সেই বাড়িতে আমরা বসবাস করি। কিন্তু বিভিন্ন সময় মোজাহার নিজেকে এই জমির মালিক দাবি করেন। প্রায় তিনি জমি মাপার আমিন নিয়ে এসে আমাদের বাড়ির আশে-পাশে মাপামাপি করেন। সরকারি পাকা রাস্তা থেকে আমাদের বাড়িতে যাওয়ার মাটির রাস্তাকে কলার গাছ লাগিয়েছে। তিনি ক্ষমতার দাপটে এমন কাজ করেন।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। শুক্রবার (২১ মার্চ) পুলিশ ফাঁড়িতে দুইপক্ষ মিলে মিমাংসায় বসার কথা ছিল। কিন্তু তারা (মোজাহার) পুলিশ ফাঁড়িতে আসেনি। তাই আগামী রোববার (২৩ মার্চ) পুলিশ ফাঁড়িতে বসার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মো. মোহজাহার বলেন, রাস্তার পাশে পুকুর পাড় ভেঙে গিয়েছিল। সেই পাড় সরকরিভাবে বাঁধায়ের কাজ হয়েছে। কাজের সময় ঠিকাদারকে বলেছিলাম যদি বালু কাজ শেষে অবশিষ্ট থাকে তাহলে মসজিদের জন্য নিয়ে যাব। তখন ঠিকাদার বলেছিল ঠিক আছে চাচা নিয়েন। এই বালুগুলো আশিকের বাড়ির গলির সামনে ছিল। আমার পরিবারের কয়েকজন মিলে বালুগুলো কুড়িয়ে ৬ বস্তায় ভর্তি করি। এসময় আশিক ও তার ভাই এসে আমাদের গালিগালাজ করে। তারপরে আমরা বালুগুলো মসজিদের সামনে রাখি। সেখান থেকে এক বস্তা আমার মেয়ে নিয়ে গেছে। পরে শুনছি তারা থানায় অভিযোগ করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম বলেন, মসজিদের পানি নেওয়ার নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। সবাই নিচ্ছেন পানি। আর মসজিদের সামনে পাঁচ বস্তা বালু রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এসেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাহিনুল আশিক/এমএএস