নাটোরে কবরস্থানের জমি নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১

নাটোরের বড়াইগ্রামে কবরস্থানের জমি নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে নজিম উদ্দিন (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২১ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত নজিম উদ্দিন নওপাড়া গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে।
আহতরা হলেন- নওপাড়া গ্রামের বন্দের আলীর ছেলে ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) এবং সিরাজ উদ্দিনের ছেলে ও ছাত্রদল কর্মী আরিফুল ইসলাম (৩৮)।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত কবরস্থানের জমি নিয়ে বিএনপি নেতা গনি মিয়া ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে। শুক্রবার গনি মিয়ার ছেলে ওমর ফারুক (৩৮) ও মেয়ের জামাই গুরুদাসপুর উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের বাসিন্দা ফারুক হোসেনের সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলমের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ওমর ফারুক নজিম উদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করেন। তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে জাহাঙ্গীর আলম, আরিফুল ইসলাম ও বাবু মিয়াকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে নজিম উদ্দিনকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নজিম উদ্দিনের ভাই দুলাল উদ্দিন বলেন, বেশ কিছুদিন আগে গনি মিয়ার বাবা কবরস্থানে জমি দান করেন। কিন্তু গনি মিয়া সেই জমি অন্য লোকের কাছে বিক্রয় করে দেন। একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জমির কারণে আমার ভাইকে হত্যা করা হলো। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।
বিজ্ঞাপন
তবে গনি মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার তারা আমার ছেলের ওমর ফারুককে মারধর করে। আজ নিজেরা মারামারি করে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের পরিদর্শক তদন্ত (ভারপ্রাপ্ত ওসি) মাহাবুবুর রহমান বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেই সঙ্গে এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গোলাম রাব্বানী/এমজেইউ