পথচারীকে চাপা দিয়ে পালানোর সময় নসিমনে ধাক্কা ট্রাকের, নিহত ২

বগুড়ার শেরপুরে ট্রাকের ধাক্কায় দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২১ জন। শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে শেরপুর-ধুনট আঞ্চলিক সড়কের রনবীরবালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাজর গ্রামের মৃত কছিম উদ্দিনের ছেলে হারুন অর রশিদ (৪৮), ও হোসনাবাদ গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান প্রামানিকের ছেলে হানিফ উদ্দিন (৩৬)।
আহতরা হলেন—সুন্দরী (৪৫), বসন্তী (৫০), সুর্বতি (৪৫), চায়না (৪০), পবিত্র (৪৫), স্বরসতি (৫৫), সাগরিকা (৫০), সুনিল (৫০), মনন্তর (৪৮), পয়ত্রি (৫২), মো. সাত্তার (৬০), বাসরি (৫০), বাশরি (৫০), ক্ষন্নষশি (৫০)। আহতরা সবাই খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাজর এলাকার বাসিন্দা।
দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজন সাতজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় তাদের নামপরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ট্রাকটি রাস্তায় দাঁড়ানো এক ব্যক্তিকে চাপা দিয়ে পালানোর সময় শ্যালোমেশিনচালিত নসিমনকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাক ও নসিমন দুটোই উল্টে যায়। এ সময় পথচারী ও নসিমনের এক যাত্রী নিহত হন। নসিমনে ১৮ জন নারি ও ৫ জন পুরুষ ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুল বলেন, ট্রাকটি ধুনটের দিক থেকে আসছিল। এ সময় রনবীরবালা বশীর পগলা মাজারের কাছে রাস্তার দাঁড়িয়ে থাকা হানিফ নামের একজনকে চাপা দেয়। এর ২০০ গজ দূরে এসে আবার কাজের উদ্দেশে যাওয়া যাত্রীবাহী ভটভটিকে ধাক্কা দিয়ে ট্রাক ও ভটভটি উল্টে যায়। এতে পথচারী হানিফ ও ভটভটিতে থাকা হারুন অর রশিদ ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় আরো ২১ জন আহত হন।
দুর্ঘটনায় আহতরা বলেন, আমরা সকালে ঝাজর এলাকা থেকে নসিমনে করে ১৭ জন মহিলা ও ৫ জন পুরুষ আলু তোলার কাজে কুসুম্বি যাচ্ছিলাম। এ সময় রনবীরবালা এলাকায় পৌঁছালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিস ওয়্যার হাউজ ইনচার্জ বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে দ্রত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতের উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রাশেদ নিরব/এএমকে