বাউফলে হাট ইজারা নিয়ে বিএনপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নে হাট ইজারাকে কেন্দ্র করে আলমাস নামে বিএনপির এক সাবেক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ভেতরে এই ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আহত আলমাস নিজেকে আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দাবি করেন। তিনি জানান, স্থানীয় বিএনপির সভাপতি জসীম পঞ্চায়েতের ভয়ে হাজীর হাট বাজারের ইজারা নেয়ার জন্য কেউ ফরম কেনার সাহস করেননি। তবে, বিএনপির একাংশ ও এলাকাবাসীরা তাকে সমর্থন জানালে তিনি তৃতীয় দফায় ৩৭ লাখ টাকার সর্বোচ্চ দর দিয়ে টেন্ডার ফরম কিনে জমা দেন। পরে পে-অর্ডারের নাম লেখায় সামান্য ভুল থাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তখনই কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি এবং পরে এ বিষয়ে জানাবেন বলে আশ্বাস দেন। উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ভেতরে অপেক্ষা করার সময় জসীম পঞ্চায়েতের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল তার ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন আলমাস।
আরও পড়ুন
তিনি আরও দাবি করেন, হামলার ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সিসিটিভিতে রেকর্ড হয়েছে এবং তিনি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।
অভিযোগের বিষয়ে আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. জসীম পঞ্চায়েত বলেন, এ অভিযোগ সত্য নয়। আলমাসের পে-অর্ডারে ভুল ছিল, আইন অনুযায়ী আমরা ওই বাজারের ইজারা পেয়েছি। আমরা এ বিষয়ে ইউএনও মহোদয়কে জানিয়েছি। এরপর, উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে আলমাসের সঙ্গে আমাদের দলের এক কর্মীর কথা-কাটাকাটি হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে আমরা তাদের সরিয়ে দেই। আমাদের ভয়ে কেউ ফরম কিনতে পারেনি এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। যদি তা-ই হতো, তাহলে আলমাস কীভাবে ফরম কিনলো?
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, "আমার সামনে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। আর সিসি ক্যামেরা সচল রয়েছে কি না, তাও আমি নিশ্চিত নই।"
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, "এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
আরিফুল ইসলাম সাগর/এআইএস