ভুল চিকিৎসায় পা হারালেন যুবক, থানায় অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গায় ভুল চিকিৎসা ও চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর পা কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা উপজেলার ফাতেমা ক্লিনিকের মালিক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
সোমবার (৩১ মে) সকালে ভুক্তভোগী টিটন হোসেন বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। টিটন হোসেন (২৯) আলমডাঙ্গার পোলতাডাঙ্গা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, প্রায় সোয়া দুই মাস আগে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় টিটন হোসেনের পায়ের হাড় ভেঙে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিকে ভর্তি করে। ওই সময় ক্লিনিক মালিক তার পায়ের পাতা থেকে সমস্ত পা ব্যান্ডেজ করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। তিন দিন পর আবার আসতে বলেন অপারেশন করতে।
বাড়ি ফেরার দুই দিনের মাথায় অসহ্য ব্যথা সহ্য করতে না পেরে তিনি ফাতেমা ক্লিনিকে ছুটে যান। ওই সময় ক্লিনিক মালিক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু তাকে রাজশাহী গিয়ে বড় ডাক্তার দিয়ে অপারেশন করাতে বলেন। তার পরামর্শ অনুযায়ী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন টিটন। সেখানে চিকিৎসকরা ব্যান্ডেজ খুলে দেখেন পায়ের মাংস পচে গেছে। চিকিৎসকরা উপায় না পেয়ে পা কেটে ফেলেন। পা ভালোভাবে ড্রেসিং করে ব্যান্ডেজ করলে এমন হতো না বলে রাজশাহীর চিকিৎসকরা মন্তব্য করেন।
রাজশাহী থেকে বাড়ি ফিরে এ ঘটনা ক্লিনিক মালিককে জানালে তিনি ক্ষতিপূরণ হিসেবে আজীবন সহযোগিতার আশ্বাস দেন। কিন্তু তিনি প্রতিশ্রুতি রাখেননি। বাধ্য হয়ে গত ১৭ এপ্রিল তার ক্লিনিকে উপস্থিত হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাড়িয়ে দেন। পরে সোমবার (৩১ মে) ভুক্তভোগী টিটন হোসেন আলমডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, এই বিষয়ে সোমবার সকালে ভুক্তভোগী টিটন একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আফজালুল হক/এসপি