হাসিনামুক্ত বাংলাদেশে আর কোনো নারী নির্যাতন চাই না : শামা ওবায়েদ

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদ বলেছেন, উনি (খালেদা জিয়া) যখন হাসপাতালে ছিলেন তখন উনাকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল বলেও আমরা শুনতে পেয়েছি। সেই অবস্থায় উনি আরও অসুস্থ হয়েছেন। সেই অসুস্থ হওয়ার পরেও উনি স্বৈরাচারের কাছে মাথা নত করেননি।
বিজ্ঞাপন
ফরিদপুরে ইফতার পার্টি পূর্ব এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে এ কথাগুলি বলেন শামা ওবায়েদ।
রোববার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের অম্বিকা ময়দানে ‘বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায়’ ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ ইফতারের আয়োজন করেন।
বিজ্ঞাপন
শামা ওবায়েদ বলেন, আমাদের ১৫ বছর ১৭ বছরের যে যুদ্ধ যে কষ্ট যে অত্যাচার যে অনাচার যে ত্যাগ যে তিতিক্ষা, সবচেয়ে বেশি ত্যাগ করেছেন আমি বলব গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যিনি অসুস্থ অবস্থায় ছিলেন। উনাকে একটি মিথ্যা মামলায় সম্পূর্ণ বিনা দোষে ছয় বছর জেল খাটতে হয়েছে। উনাকে এবং ওনার পরিবারকে বারবার বলা হয়েছিল যে উনি যদি ক্ষমা চান রাষ্ট্রপতির কাছে তাইলে উনাকে জামিন দেওয়া হবে। কিন্তিু তিনি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি।
বিএনপির এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, হাসিনা চলে গেছে, কিন্তু ষড়যন্ত্র যায় নাই। সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে আমাদের মধ্যে ১৫ বছর যারা ছিল না, যাদেরকে আমরা দেখি নাই, যারা কখনো কোনো আন্দোলন সংগ্রামে ছিল না তাদের ঘাড়ের ওপর সওয়ার হয়ে আওয়ামী লীগ ফিরে আসতে চাচ্ছে। আমাদের সেজন্য সজাগ থাকতে হবে। সকল রকম ষড়যন্ত্রের ঊর্ধ্বে থেকে আমাদেরকে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে, জনগণের পাশে থাকতে হবে।
বিজ্ঞাপন
শামা ওবায়েদ বলেন, সবচেয়ে ক্রান্তিকাল সময় আমরা পাড় করছি। এখনো আমরা ভোটাধিকার পাই নাই। আমরা এখনো একটা ভোট দিতে পারি নাই। নির্বাচন-ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের যে যুদ্ধ সেই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের এই দাবি থাকুক- হাসিনামুক্ত ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে আর কোনো নারী নির্যাতন চাই না। আর কোনো অত্যাচার অনাচার চাই না। আর কোনো ডাকাতি চাই না। আর কোনো খুন-গুম দেখতে চাই না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আফজল হোসেন, খন্দকার ফজলুর হক, আজম খান প্রমুখ।
জহির হোসেন/আরএআর