৫ দিন বন্ধ থাকবে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর
দেশের একমাত্র ত্রিদেশীয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য চলমান রয়েছে। করোনাকালে যাত্রী আসা যাওয়া বন্ধ থাকলেও বন্ধ হয়নি পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রফতানি। প্রতিদিন ভারত নেপাল ও ভুটানের শতাধিক পণ্যবাহী গাড়ি ঢুকছে বন্দরটিতে।
এ পরিস্থিতিতে তেঁতুলিয়া উপজেলা করোনা প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা কমিটি বন্দরের জন্য ১৪টি নির্দেশনা জারি করলেও তার বেশি ভাগ ঠিকমতো মানা হচ্ছে না। ফলে স্থানীয়দের চাপের মুখে ব্যবসায়ীরা রোববার (৩০ মে) থেকে ৩ জুন পর্যন্ত আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শনিবার (২৯ মে) রাতে পঞ্চগড় আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, রোববার (৩০ মে) থেকে বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বন্দর দিয়ে জরুরি পণ্য ছাড়া সকল প্রকার আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
জানা যায়, ভারতে মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাবান্ধার স্থানীয়রা বন্দরের কার্যক্রম কিছু দিনের জন্য বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে আসছিল। বন্দর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা। তবে ওষুধের মতো জরুরি পণ্য বিশেষ প্রয়োজনে আমদানি-রফতানি অব্যাহত থাকবে বলে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আগামী ৪ জুন থেকে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে। ব্যবসায়ীদের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও।
এ বিষয়ে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন বলেন, রোববার থেকে আগামী পাঁচ দিন বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি-রফতানি করবে না। আমি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একমত পোষণ করছি। কারণ ভারতের শিলিগুড়ি বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে অনেক কাছেই। শিলিগুড়িতে করোনার যে নতুন রূপ দেখা দিয়েছে তা আমাদের এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এখানকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পঞ্চগড় আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা জানান, ভারতীয় ধরন এড়াতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে জরুরি পণ্য আমদানি- রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।
রনি মিয়াজী/এসপি