রামেক হাসপাতালে সর্বোচ্চ ১২ জনের মৃত্যু
করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আরও ১২ জন মারা গেছেন। দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর রামেক হাসপাতালে এক দিনে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৯ মে) সকাল ১০টা থেকে রোববার (৩০ মে) সকাল ১০টা পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই ১২ জন মারা যান। এদের মধ্যে আটজন মারা গেছেন করোনা সংক্রমণ নিয়ে। বাকিদের মৃত্যু হয়েছে করোনার উপসর্গ নিয়ে।
এই এক দিনে মারা যাওয়া সর্বোচ্চ সাতজন বিভাগে করোনার নতুন হটস্পট চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা। এ ছাড়া রাজশাহীর দুইজন, নওগাঁর দুইজন ও নাটোরের একজন রয়েছে। করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে এরা হাসপাতালে এসেছিলেন।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে ১২ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে আটজন মারা গেছেন প্রাণঘাতি করোনা সংক্রমণে। এ ছাড়া সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন অন্য চারজন।
সর্বোচ্চ তিনজন করে মারা গেছেন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) ২২, ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ছাড়া একজন করে মারা গেছেন ৩৯, ২৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে।
তিনি আরও বলেন, মৃত্যুর পর সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উপপরিচালক আরও বলেন, রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে রামেক হাসপাতালে এসেছেন ২০৯ জন। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ৭৫ জনের। করোনা সংক্রমণের উপসর্গ রয়েছে বাকি ১৩৪ জনের।
হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন তারা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরও ১২ জন হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে অধিকাংশই এসেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুর ১২টার পর থেকে শনিবার (২৯ মে) দুপুর ১২টা পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে ২৪ প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ১৫ জনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তাদের মধ্যে ১১ জনই মারা গেছেন করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে। ফলে করোনায় মৃতের তালিকায় তাদের নাম উঠেনি বলে জানিয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতর।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এসপি
