ন্যায্যমূল্যের বাজারে প্রশংসিত ইউএনও, দুঃস্থরা পাচ্ছে ইফতার

রমজানের বাজারে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম চড়া। এতে চাহিদা পূরণে অসহায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পর্যায়ের ক্রেতারা সমস্যায় পড়ছেন। পবিত্র রমজানে ক্রেতাদের এই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ন্যায্যমূল্যের বাজার চালু করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। সেই সঙ্গে নিয়মিত বাজার মনিটরিংসহ দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ করে সাধারণের মাঝে প্রশংসা কুড়িয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদুল হক।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নেটিজেনদের প্রশংসায় আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
চলতি রমজানে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে চালু করা হয়েছে ন্যায্যমূল্যের হাট। এতে বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেল, চিনি, ডিম, দেশীয় মাছ, বয়লার মুরগি, খেজুরসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের পণ্য বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে প্রতিদিন বিক্রি করা হচ্ছে। আগামী শুক্রবার থেকে এই হাটে গরুর মাংস ও দুধ বিক্রি করা হবে, বলেও জানিয়েছেন অফিস কর্মচারী মো. মাজহারুল করিম।
আরও পড়ুন
রমজানের বাজারে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিংসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে ইউএনও। ইতোমধ্যে পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে অতিরিক্ত দামে সয়াবিন বিক্রি, নোংরা পরিবেশে ইফতার সামগ্রী সংরক্ষণ, মূল্য তালিকা না টানানো এবং ওজনে কারচুপির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১২টি মামলায় ১৯ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সতর্কতা সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান পৌর এলাকার বাসিন্দা মো. ইকরাম হোসেনসহ আরও অনেকেই।
এছাড়াও প্রতিদিন ৩ শতাধিক দুঃস্থ ও অসহায়দের বিনামূল্যে ইফতার বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এই ইফতারে খেজুর, বুট, মুড়ি, কলাসহ নানা ধরনের খাদ্য সামগ্রী রয়েছে। এতে দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের সদস্যরা উচ্ছসিত বলে জানিয়েছেন স্থানীয় রিকশা চালক মো. মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ইউএনও স্যার বিনামূল্যে ইফতার দিচ্ছেন। এই ইফতার পেয়ে আমার মতো অনেকেই খুশি। এই ব্যবস্থা না থাকলে অনেকেই টাকায় কিনে ইফতার করতে পারতেন না।
ইউএনও এই উদ্যোগ প্রশংসনীয় বলে দাবি করেছেন আল আমিন মুন্সি নামের এক বাসিন্দা বলেন, ইউএনও স্যারের এই উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে। আমরা চাই, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন মানবিক উদ্যোগ অব্যাহত থাকুক।
এ বিষয়ে ইউএনও মো. এরশাদুল হক বলেন, যখন শুনতে পাই কেউ শুধুমাত্র মুড়ি খেয়ে রোজা রেখেছেন বা ইফতার করেছেন, তখন নিজেকে অপরাধী মনে হয়। মূলত দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের কথা চিন্তা করেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ন্যায্যমূল্যে বাজার, বিনামূল্যে ইফতার বিতরণসহ বেশ কয়েকটি কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। পুরো রমজান মাসজুড়ে আমাদের এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে, ইনশাল্লাহ।
এআইএস