প্রজেক্ট হিলশায় ছুটছে মানুষ
উদ্বোধনের দুদিন না পেরোতেই ইলিশের আদলে গড়া আধুনিক ‘প্রজেক্ট হিলশা’ রেস্তোরাঁয় মানুষের ঢল নেমেছে। ভ্রমণপ্রিয় ও ভোজনরসিকদের কাছে আগ্রহের জায়গা হয়ে উঠেছে রেস্তোরাঁটি। তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছে হাজার হাজার মানুষ।
রাজধানীর খুব কাছে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটের সামনে বুধবার (২৬ মে) থেকে চালু হয়েছে প্রজেক্ট হিলশা রেস্তোরাঁটি।
প্রজেক্ট হিলশার মূল আকর্ষণ হলো, এখানে খেতে বসলে মনে হবে যেন ইলিশের পেটের ভেতরে বসেই ইলিশ খাওয়া। পদ্মার তাজা ইলিশ দিয়েই এখানে চলে অতিথি আপ্যায়ন। আবার কেজি হিসেবে বিক্রি করা হয় ইলিশ।
সরেজমিনে শুক্রবার (২৮ মে) দেখা যায়, ছুটির দিনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওই রেস্তোরাঁয় ছুটে এসেছে হাজার হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকা থেকেই ছুটে এসেছেন অধিকাংশ মানুষ। খাবারের পাশাপাশি সেলফি তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। খাবারের পাশাপাশি ওই রেস্তোরাঁয় রাখা হয়েছে শিশুদের জন্য বিভিন্ন ইনডোর মোটরবাইক রাইড খেলাও। তাই রেস্তোরাঁয় এসে খেলাধুলা করতে পেরে খুশি শিশুরাও।
রেস্তোরাঁর ভেতর আন্তর্জাতিক মানের ফার্নিচারে সাজানো হয়েছে। রেস্তোরাঁর সামনে ও পেছনে রয়েছে বিশাল গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। তারপরও গাড়ি রাখার স্থান সংকুলান হচ্ছিল না। বাড়তি মানুষের চাপে খাবার সরবরাহ করতে কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সময়মতো খাবার সরবরাহ করতে পারছিল না তারা। গ্রাহকরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও খাবারের মান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
প্রজেক্ট হিলশায় আসা অধিকাংশ গ্রাহক জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেখে এই রেস্তোরাঁয় ছুটে এসেছেন তারা।
ঢাকার জিনজিরা থেকে আসা রানা আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফেসবুকে দেখেছি ইলিশের আদলে একটি আধুনিক রেস্তোরাঁ উদ্বোধন হয়েছে। আমি ঢাকায় ব্যবসা করি। শুক্রবার আমাদের অফ ডে। তাই বন্ধুদের নিয়ে এসেছি। এখানকার খাবারের মান খুবই ভালো। বাংলা খাবারের পাশাপাশি ইন্ডিয়ান, থাই, চায়নিজ খাবারও পাওয়া যায়।
মেহজাবিন নামের কিশোরী বলেন, ফেসবুকের অনেক গ্রুপে দেখছি এখানে একটি ভালো রেস্টুরেন্ট হয়েছে। এসে দেখলাম পরিবেশ খুবই ভালো। আপুদের নিয়ে এখানে এসে খুব মজা করছি।
বেসরকারি চাকরিজীবী মাহবুব বলেন, আমি পরিবার নিয়ে ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় থাকি। ফেসবুকে এ রেস্তোরাঁ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে দেখতে এসেছি।
স্বপন নামের একজন বলেন, আমার বাড়ি শরীয়তপুর, আমি থাকি ঢাকায়। বাড়ি যাওয়া-আসার পথে দেখেছি এখানে ভালো একটা রেস্তোরাঁ হয়েছে। তাই ঢাকা থেকে ছুটে এসেছি।
প্রজেক্ট হিলশা রেস্তোরাঁর ম্যানেজার প্রসেনজিৎ ঢাকা পোস্টকে জানান, এই রেস্তোরাঁয় একসঙ্গে ৩৫০ জনেরও অধিক লোক একসঙ্গে বসে খাবার খেতে পারেন। আপাতত প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রেস্তোরাঁ খোলা রাখা হয়। প্রজেক্ট হিলশায় বাংলা, ইন্ডিয়ান, থাই, কন্টিনেন্টাল খাবার পাওয়া যায়। গ্রাহকরা এখানে এসে খাবার খেতেও পারবেন, আবার নিয়েও যেতে পারবেন।
উল্লেখ্য, এ্যাবা গ্রুপের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুর রহমান শিপন মৃধা প্রজেক্ট হিলশা রেস্তোরাঁ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। পদ্মাপাড়ে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য শখের এ রেস্তোরাঁ নির্মাণ শেষে এর উদ্বোধন করেন মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি।
এনএ