হামলার পরিকল্পনা হয় গণঅধিকার পরিষদের নেতার রেস্টুরেন্টে বসে

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার বারোঘরিয়াতে পূর্ব শত্রুতার জেরে চারটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনকে আহত করার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
গ্রেপ্তারকৃত সাকিব (২৮) চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার পেয়ারা বাগান এলাকার জাব্বার ওরফে শাহজাহান আলীর ছেলে এবং মোহাম্মদ আলী ওরফে গোদা (২৫) একই উপজেলার বারঘরিয়া ইউনিয়নের ফজলুর ছেলে।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিবের সঙ্গে বারঘরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদের বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে মহানন্দা নদীর পাড়ে অবস্থিত মো. রাকিবের রেস্টুরেন্টে বসেই হারুন চেয়ারম্যানের ওপর হামলার পরিকল্পনা করে মো. রাকিব, মোহাম্মদ আলী ওরফে গোদা ও মো. নাসির। এ ছাড়া রাত আনুমানিক ৮টার দিকে হারুন চেয়ারম্যান বারঘরিয়া বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। সে সময় পরিকল্পনা মোতাবেক রাকিবসহ অন্যান্যরা তাকে লক্ষ্য করে পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান এবং বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আরও একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এ সময় হারুন চেয়ারম্যানসহ আরও পাঁচজন আহত হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার রাতেই অভিযান পরিচালনা করে সাকিবকে এবং শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোহাম্মদ আলী ওরফে গোদাকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী।
বিজ্ঞাপন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার সূত্রে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বারোঘরিয়া বাজারে ও ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিবকে প্রধান আসামি করে চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০ জন আসামি করে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এর মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত মোহাম্মদ আলী ওরফে গোদা ২নং এবং সাকিব ৩নং এজাহারনামীয় মামলার আসামি।
বিজ্ঞাপন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃহস্পতিবার রাতেই সাকিবকে এবং শুক্রবার রাতে মোহাম্মদ আলী ওরফে গোদাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
র্যাব-৫ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার স্কোয়ড্রন লিডার মারুফ হোসেন খাঁন বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাকিব জানান, রাকিবের সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের পূর্ব বিরোধ থাকায় নিজের রেস্টুরেন্টে বসে হামলার পরিকল্পনা করে রাকিব, গোদা ও নাসির এবং তারা পরস্পর আত্মীয়। অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।
মো. আশিক আলী/এএমকে