যমুনা সার কারখানায় ফের উৎপাদন বন্ধ

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানায় অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফের সার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ১৩ মাস ২১ দিন বন্ধ থাকার পর ৪ দিন চলেই বন্ধ হয়েছে কারখানাটি।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে কারখানা কর্তৃপক্ষ সার উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুসলেহ উদ্দিন।
জানা গেছে, যমুনা সার কারখানায় বিরতিহীনভাবে সার উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৪২ থেকে ৪৩ পিএসআই গ্যাসের চাপের প্রয়োজন হয়। কিন্তু গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি গ্যাস সংকটের কারণে গত বছরের ১৫ জানুয়ারি সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। গ্যাস সংকটে ১৩ মাস ২৩ দিন কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকার পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারিতে উৎপাদন শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।
বিজ্ঞাপন
ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুসলেহ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কারখানাটি অনেকদিন বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি গ্যাস সংযোগ দেয় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। পরে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সার উৎপাদন শুরু করে যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড। বুধবার রাতে অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। ত্রুটি সারাতে কাজ চলছে। কতদিনের মধ্যে কারখানায় উৎপাদন শুরু হবে তা বলা যাচ্ছে না।
প্রতিদিন ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন সার উৎপাদনের সক্ষমতা নিয়ে ১৯৯১ সালে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করে দেশের অন্যতম দানাদার ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড। তবে গ্যাসের কম চাপ ও বিভিন্ন সমস্যার জন্য ১ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করে আসছিল কারখানাটি। জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের ২১টি জেলার ১৬২টি উপজেলায় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) প্রায় ১ হাজার ৯০০ ডিলারের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে সার সরবরাহ করে থাকে যমুনা সার কারখানা।
মুত্তাছিম বিল্লাহ/আরএআর