এবার কুয়েটের উপাচার্যের বাসভবনে শিক্ষার্থীদের তালা

এবার কুয়েটের উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮ টায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল সহকারে ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদের বাসভবনের তালা ঝুলিয়ে দেয়।
এর আগে বিকাল ৩টায় ৬ দফা দাবির আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় কুয়েট শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে ‘রক্তাক্ত কুয়েট’ শিরোনামে ১৮ই ফেব্রুয়ারি বহিরাগতদের হামলায় আহত শিক্ষার্থী এবং হামলাকারীদের ছবি প্রদর্শনের আয়োজন করেছিলেন।
এদিকে কুয়েটের ৯৮তম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়া শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের পোস্টার লাগানো কর্মসূচি ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার রাত তালা ঝোলানোর সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা আমাদের ড: মাসুদ স্যারকে (উপাচার্য) নির্যাতন করেছি বলে যে অপপ্রচার চালানো হয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা। আমরা যথেষ্ট সম্মানের সাথে আচরণ করেছি তার শরীরে একটি টোকা দিয়েছি, এমন কোন প্রমাণ বা ভিডিও কেউ দেখাতে পারবে না।”
তারা বলেন, “ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়টি ইতোপূর্বে সিন্ডিকেট মিটিংয়ে কঠোরভাবে পালনের নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা মেনে চলা হচ্ছে না। তাই এ বিষয়টি প্রশাসনিক অধ্যাদেশ গুরুত্বের সাথে কার্যকর করতে হবে।”
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, “অপপ্রচার চালানো হয়েছে প্রশাসন আমাদের ৫টি দাবি মেনে নিয়েছেন। অথচ এটি মিথ্যা। আমাদেরকে কেবল আশ্বস্ত করা হয়েছে। তারা যে কমিটি গঠন করেছে সে কমিটিতে সাধারণ ছাত্রদের কাউকে রাখা হয়নি। এ কমিটির প্রতি আমাদের কোন আস্থা নেই। ছাত্রদল ও বিএনপির সন্ত্রাসীরা যে নৃশংস হামলা চালিয়েছে তার ভিডিও ফুটেজ ও ছবি থাকার পরেও প্রশাসন নির্বিকার। এটা সাধারণ ছাত্রদের প্রতি তামাশা ছাড়া কিছুই নয়। এর মাধ্যমে তারা আমাদেরকে আমাদের আন্দোলন থেকে দূরে রাখার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে ভিসি স্যারের বাসভবনে তালা ঝুলানো হয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের ফরম বিতরণকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় অংশ নেয় স্থানীয় বহিরাগতরাও। এ নিয়ে কুয়েটের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।
মোহাম্মদ মিলন/এসএমডব্লিউ