একুশের প্রথম প্রহরে বগুড়ার শহীদ মিনারে মানুষের ঢল

একুশের প্রথম প্রহরে বগুড়ার নবনির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢল নেমেছিল বিভিন্ন স্তরের মানুষের। শহীদ খোকন পৌর শিশু উদ্যানে রাত বারোটা এক মিনিটে জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা ফুল দিয়ে সর্বপ্রথম শ্রদ্ধা জানান নতুন নির্মিত শহীদ মিনারে।
বিজ্ঞাপন
নানান বিতর্ক থাকায় পুরোনো শহীদ মিনারটি গত বছর ভেঙে ফেলা হয়। এরপর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে নির্মাণ শুরু হয় নতুন শহীদ মিনারের।
এদিকে নতুন শহীদ মিনার দেখতে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার পর থেকে শহীদ খোকন পৌর শিশু উদ্যানে আসতে শুরু করে সাধারণ জনতা। তারা শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত বইমেলাতে ঘুরে এবং নবনির্মিত শহীদ মিনারের সাথে ছবি তুলে প্রহরের জন্য অপেক্ষা করছিল।
বিজ্ঞাপন
প্রথম প্রহরে জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর জেলা পুলিশ বগুড়া পৌরসভা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর এবং শ্রেণিপেশার মানুষ একে একে শ্রদ্ধা জানান নতুন এই শহীদ মিনারের বেদিতে। নবনির্মিত শহীদ মিনার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে হওয়ায় উচ্ছ্বসিত বগুড়াবাসী।
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বগুড়ায় নবনির্মিত শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার পর জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের দেশ বাংলার সাহসী সন্তান যারা মাতৃভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন। তাদের স্মরণ করতেই তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।
বাঙালি জাতির জন্য এই দিবসটি চরম শোক ও বেদনার। মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এ দিন। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদরা জাতিকে সে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার দিয়ে গেছেন। এটিই পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। ভাষার জন্য রক্তপাত দেখেনি আর কোনো জাতি।
রাশেদ নিরব/এমএ