ভারতীয় চালকদের গলায় পরিয়ে দেয়া হচ্ছে লাল ফিতা
করোনা সংক্রমণ, মৃত্যু ও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট রোধে চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলছে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন। তবে কৃষি খাতের পরিবহন, জরুরি সেবা, ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের ফিরে আসা ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর লকডাউনের আওতার বাইরে রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে জেলার করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণ হিসেবে ভারতীয় ট্রাক চালকদের দায়ী করছেন। অবাধে তাদের চলাফেরা শঙ্কিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনকে। তাই নেয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের ভেতরে ঢোকা মাত্রই ভারতীয় ট্রাক চালকদের গলায় পরিয়ে দেয়া হচ্ছে লাল ফিতা।
গতকাল বুধবার (২৬ মে) থেকে এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সোনামসজিদ স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিমিটেড। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকালে স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, প্রবেশমুখে জিরো পয়েন্টে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি সদস্য এবং পানামা কর্তৃপক্ষ তাদের গলায় লাল ফিতা পরিয়ে দিচ্ছে। ভারত থেকে আসা ট্রাকচালক ও সহযোগিরা যাতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যাতে মিশতে না পারে, এজন্য তাদের হাতে বা গলায় বিশেষ রঙের ফিতা বেঁধে দেয়া হচ্ছে।
সোনামসজিদ পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে জানান, প্রতিদিন প্রায় ৫০০-৬০০ ভারতীয় ট্রাক বিভিন্ন পণ নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তারা স্থলবন্দর এলাকায় মাস্ক ছাড়া অবাধে চলাফেরা করছিল। এ নিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকার জনসাধারণ আতঙ্কিত হয়ে পড়লে চালকদের জন্য এই বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। লাল ফিতা ছাড়া কেউ চলাচল করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিএ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন, ভারতীয় চালকদের থেকে অন্যরা যাতে করোনায় সংক্রমিত না হয় তাই এ বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। খুবই ভালো একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কারণ এতে করে বাংলাদেশি ট্রাক চালক, সহকারী, ব্যবসায়ী, শ্রমিকরা তাদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলতে পারবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মঞ্জরুল হাফিজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেলায় প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকা করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনামসজিদ স্থলবন্দরে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ভারতীয় ড্রাইভার ও হেলপারদের জন্য লাল ফিতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা শনাক্ত ১ হাজার ৫০৪ জন, সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৩ জন। নতুন ১৩১ জনসহ রোগীসহ চিকিৎসাধীন আছেন ৩৯৩ জন। জেলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ২৮ জন।
জাহাঙ্গীর আলম/এমএএস