ক্রীড়াঙ্গন জেলা পরিষদে হস্তান্তর না হওয়ায় অসন্তোষ সন্তু লারমার

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা বলেছেন, ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি আলোকে ক্রীড়াঙ্গন জেলা পরিষদের কাছে থাকার কথা ছিল। কিন্তু আজোও পর্যন্ত সরকার ক্রীড়াঅঙ্গন জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করেনি। ক্রীড়াঙ্গন জেলা পরিষদের কাজে হস্তান্তর এখানকার ক্রীড়ামোদি মানুষের অন্যতম দাবি। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও পার্বত্য অঞ্চলের তরুণরা খেলাধুলার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদেরে আয়োজনে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে ফুলবল ও ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ফুটবল জগতে পার্বত্য অঞ্চলের অনেক খেলোয়াড় জাতীয় দলে দেশের জন্য খেলেছে। যার মধ্য দিয়ে তারা দেশ ও পার্বত্য এলাকাকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করেছে।
বিজ্ঞাপন
তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে প্রতিযোগিতায় ব্যাডমিন্টে ৮টি দল অংশ নেয়। এতে সকালে শিরোপা চাকমা ও পনি চাকমা’র দল চ্যম্পিয়ন হয়। বিকেলে ফুলবল খেলায় ফুরোমন হিল বনাম বড়গাঙ কিংসের মধ্যকার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফুরোমন হিল ১-০ গোলে বিজয়ী হয়। খেলায় সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন সময় জয় তঞ্চঙ্গ্যা, সেরা গোল রক্ষক জনি মারমা, সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন বিজয় শান্তি চাকমা।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা। এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) অনুপ কুমার চাকমা, সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, সাবেক উপ-সচিব প্রকৃতি রঞ্জন চাকমাসহ বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে থেকে নারী রেফারী জয়া চাকমা, বক্সার সুর কৃষ্ণ চাকমা, ফুটবলার মনিকা, ঋতুপর্নাসহ অনেক খেলোয়াড় পাহাড় থেকে দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছে। সামনের দিনগুলোতে আরও ভালো খেলোয়াড় তৈরিতে পাহাড়ের তরুণদের খোলোধুলায় আরও অনুশীলন করতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) অনুপ কুমার চাকমা বলেন, এখন ছেলে মেয়েরা মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তাদের বলবো
খেলাধুলা করতে হবে। খেলাধুলা শরীর ও মনকে সতেজ রাখে। তরুণরাই পারে দেশ এগিয়ে নিতে। তাই তরুণদের দেশের কাজে নিজেদের আরও সম্পৃক্ত রাখতে হবে।
মিশু মল্লিক/এমএএস