কুষ্টিয়ায় জর্জের অফিস ভাঙচুর, আগুন

কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জের দলীয় অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে কুমারখালী উপজেলা শহরের কনু মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে বিক্ষুব্ধরা তিনতলা বিশিষ্ট অফিস ভবনে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেন। এই অফিসে জর্জ গ্রুপের দুই উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চলতো। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যাতায়াত ছিল প্রতিনিয়ত।
জর্জ বর্তমানে কেরানীগঞ্জ কারাগারে বন্দি রয়েছেন। আন্দোলনকারীদের হত্যা ও হত্যাচেষ্টার একাধিক মামলার আসামি তিনি।
বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বুধবার রাতে জর্জ এমপির রাজনৈতিক অফিসের তালা ভেঙে ফেলেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা। পরে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং ভাঙচুর চালান তারা। এরপরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অফিস ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার অনলাইনে হুমকির ভাষণ দেওয়ার প্রতিবাদে এসব করা হয়েছে। এসময় আওয়ামী লীগ সরকার গুম, খুন, দুর্নীতিসহ রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষুব্ধরা।
ছাত্রজনতারা বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা নিরপরাধ মানুষকে খুন করেছে, গুম করেছে। লুটপাট অনিয়ম দুর্নীতি করে দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে। আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়েছে। সেখানে বসে বাংলাদেশের মানুষকে হুমকি দিচ্ছে। তাদের দোসররা হুমকি দিচ্ছে অনলাইন প্লাটফর্মে, বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। হাসিনা ও আওয়ামী লীগের জায়গা নেই এই বাংলার মাটিতে। তাদের চিহ্ন রাখা হবে না। হাসিনাকে দেশে এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। জর্জ এমপিসহ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। যাতে তাদের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে কেউ সাহস না পায়।
তারা আরও বলেন, জর্জ অনিয়ম দুর্নীতির ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। দেশ-বিদেশে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। তিনি খোকসা ও কুমারখালী উপজেলায় টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসায়, অবৈধভাবে পদ্মা-গড়াইয়ের বালু উত্তোলন ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করত। অসংখ্য মানুষকে নির্যাতন-নিপীড়ন করেছেন সন্ত্রাসী বাহিনীর এই গডফাদার। আন্দোলনকারীদের হত্যা করেছে। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
রাজু আহমেদ/এমএএস