সুন্দরবন থেকে ভেসে এলো ৪ মৃত হরিণ
বাগেরহাটে সুন্দরবন থেকে জোয়ারের পানিতে একে একে চারটি মৃত হরিণ ভেসে এসেছে। বুধবার (২৬ মে) সুন্দরবনের কচিখালী অভয়ারণ্য, দুবলার চর, বলেশ্বর নদী সংলগ্ন রাজেশ্বর গ্রাম এবং উত্তর তাফালবাড়ি থেকে হরিণ চারটি উদ্ধার করেন বন বিভাগ।
তবে পানিতে ডুবে আরও বন্যপ্রাণী মারা যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদিন। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব ও পূর্ণিমা তিথির জোয়ারের কারণে বনে স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ থেকে ৭ ফুট পানি বৃদ্ধি পায়।
এই পানিতে বনের প্রায় সব এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদে জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে একটি মৃত হরিণ। স্থানীয়রা হরিণটি নদীতে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে বেড়িবাঁধের ওপর তোলেন। পরে আমরা হরিণটিকে এনে সন্ধ্যায় মাটি চাপা দিয়েছি।
এর আগে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সুন্দরবনের দুবলার চরের আলোরকোলে কোস্টগার্ড অফিসের সামনে ভেসে আসে আরও একটি মৃত হরিণ। বনের কচিখালী অভয়ারণ্য এলাকা থেকে বিকেলে আরও একটি মৃত হরিণ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া উত্তর তাফালবাড়ি থেকে আরেকটি মৃত হরিণ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া মৃত হরিণ চারটির মধ্যে লোকালয় সংলগ্ন বলেশ্বর নদী থেকে উদ্ধার হওয়া হরিণের পেটে বাচ্চা ছিল বলে জানান তিনি।
শরণখোলা রাজেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা মো. ছানোয়ার হোসেন রিয়াদ বলেন, সুন্দরবনের দিক থেকে বুধবার বিকেলে রাজেশ্বরের মোড় এলাকায় একটি মৃত হরিণ ভেসে আসে। আমরা হরিণটিকে দেখে বন বিভাগকে খবর দিয়েছিলাম। পরে বন বিভাগের লোকজন এসে হরিণটি নিয়ে যায়।
তানজীম আহমেদ/এসপি