পটুয়াখালীতে আদালত চত্বরে আসামিদের ওপর হামলা, আহত ৩

পটুয়াখালী জেলা জজ আদালত চত্বরে একদল হামলাকারী জামিনে মুক্ত আসামিদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের দাবি, হামলাকারীরা স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। এমনকি হামলায় সরাসরি দুইজন আইনজীবীর জড়িত থাকার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র।
আহতরা হলেন—কলাপাড়া উপজেলার নিলগঞ্জ ইউনিয়নের মৃত বজলু মিয়ার ছেলে মো. সোহাগ মিয়া, মৃত আব্দুস সত্তারের ছেলে কালাম মিয়া ও হাবিব হাওলাদারের ছেলে সোহাগ হাওলাদার।
বিজ্ঞাপন
আহতদের মধ্যে সোহাগ মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, হামলাকারীরা ইট দিয়ে সোহাগ মিয়ার হাঁটু থেতলে দেন। বাকি দুইজনের কোনো খোঁজ মেলেনি।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
আহতদের স্বজনরা জানান, ২০১২ সালে কলাপাড়ায় ছাত্রদল নেতা মো. জিয়া হত্যার ঘটনায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার কয়েকজন আসামি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বুধবার আদালতে হাজিরা দিতে এলে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।
আহত সোহাগ মিয়ার বড় ভাই এবং নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া বলেন, ‘হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েও যদি আদালতে এসে হামলার শিকার হতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? হামলাকারীরা তাদের চোখ বেঁধে নির্জন স্থানে নিয়ে যান এবং চিকিৎসা নিতেও দেয়নি।’
আদালত এলাকায় হামলার ঘটনা জানাজানি হলে সাংবাদিকরা পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতির মাধ্যমে সিসিটিভি ফুটেজ চাইলে তা পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. এ.টি.এম. মোজাম্মেল হোসেন তপন বলেন, আমি তখন আদালতে ছিলাম, তাই ঘটনাটি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানি না।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. ওয়াহিদ সরওয়ার কালাম বলেন, ‘আইনজীবীদের উপস্থিতিতে আদালত এলাকায় এমন ঘটনা দুঃখজনক। এ বিষয়ে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।’
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি।
মো. রায়হান/এএমকে