দাফনের ৫ মাস পর সুমনের মরদেহ উত্তোলন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন পঞ্চগড়ের সুমন ইসলাম (২১)। দাফনের পাঁচ মাস পর আদালতের নির্দেশে শহীদ সুমনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া আমিনগর বকশীগঞ্জ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে বোদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম ফুয়াদের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়া থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মনিরুল ইসলাম, বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দীন সাকোয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলামসহ বোদা থানার একদল পুলিশ ও সুমনের পরিবারের সদস্যরা।
শহীদ সুমন বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের আমিন নগর বকশীগঞ্জ গ্রামের হামিদ আলীর ছেলে। চার ভাই-বোনের সবার ছোট ছিলেন সুমন। তিন বোনের বিয়ের পর বৃদ্ধ মা-বাবার একমাত্র সহায়ক ছিলেন তিনি। মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে ঢাকার ইপিজেডে কাজ নিয়েছিলেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন আশুলিয়া থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন সুমন। ৭ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বজনরা তার মরদেহ শনাক্ত করেন। এরপর তার মা কাজলী বেগম আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এরপর ৮ আগস্ট গ্রামের বাড়িতে সুমনকে দাফন করা হয়।
নিহত সুমন ইসলামের মা কাজলী বেগম সাংবাদিকদের বলেন, সঠিক ও ন্যায় বিচারের আশায় আমার ছেলের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার দাবি করছি।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দীন বলেন, গত ডিসেম্বর মাসে মামলার প্রক্রিয়া শেষে আদালত মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। গতকাল মঙ্গলবার আদেশের চিঠি পাওয়ার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য মরদেহ মেডিকেলে পাঠানো হবে।
এসকে দোয়েল/এএমকে