রায়পুরায় গোলাগুলিতে নিহতের ঘটনায় মামলা, চেয়ারম্যানসহ আসামি ৩০

নরসিংদী রায়পুরার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নে সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আলম ওরফে আলমগীর (২০) নামে একজন নিহত হওয়ার দুই দিন পর থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিহতের বাবা জহর আলী বাদী হয়ে বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকিরকে প্রধান আসামি করে ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন রায়পুরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আদিল মাহমুদ।
এর আগে রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার চরাঞ্চলের বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামীলীগের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আলম ওরফে আলমগীরের মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আলমের বাবা জহর আলীর কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় হামলা চালিয়ে আলমগীরকে ধরে নিয়ে বাঁশগাড়ি ভূমি অফিসের সামনে নিয়ে মারধর করতে থাকে। এ সময় হামলাকারীরা আলমগীরের বুকের ডান পাশে গুলি করে। গুলিটি তার বুকের সামনে ঢুকে পেছন দিয়ে বের হয়। এরপরই আহত অবস্থায় আলমগীরকে উদ্ধার করে প্রথমে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে জেলা সদর হাসপাতাল নরসিংদীতে প্রেরণ করেন। পরে সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার দিন দুপুরে হত্যাকাণ্ডের স্থান ও বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিদর্শন করেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন) সিদ্দিকুর রহমান ও রায়পুরা থানা পুলিশের সদস্যরা।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, রায়পুরার চরাঞ্চল বাঁশগাড়িতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকির ও সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল হকের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। বেশ কিছুদিন ধরে এলাকাছাড়া ছিলেন আশরাফুল হকের সমর্থকেরা। রোববার সকাল ৮টার দিকে আশরাফুল হকের সমর্থকেরা এলাকায় ঢুকলে রাতুল হাসানের সমর্থকেরা বাধা দেন। এ সময় দুই পক্ষের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র ও টেঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
তন্ময় সাহা/আরএআর