কাঁঠালিয়ার ১৫ গ্রাম প্লাবিত
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বিষখালী নদী তীরবর্তী ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার বড় কাঁঠালিয়া এলাকাসহ ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মে) বিকেলে বিষখালি নদী তীরবর্তী বেড়িবাঁধ সড়কের কয়েক মিটার ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করে। তবে রাতে ভাটার সময় পানি নেমে গিয়েছিল। উপজেলার শৌলজালিয়া ও আওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে উপজেলা প্রশাসন।
কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, বুধবার সকাল থেকে কাঁঠালিয়া উপজেলা পরিষদসহ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গতকাল কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হলেও ভাটার সময় পানি নেমে যায়। আশা করছি আজও পানি নেমে যাবে। গতকাল বিষখালী নদীর বেড়িবাঁধটি কিছুটা ভেঙে গেছে।
প্লাবিত এলাকার মানুষদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে বলেন, আমরা প্রস্তুত আছি, জেলা প্রশাসক মহোদয় এখনই এসে পৌঁছাবেন। তখন আমরা ব্যবস্থা নিব। তবে সেরকম ক্ষতির সম্মুখীন এখনো হয়নি এলাকাবাসী।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মুশফিকুর রহমান শুভ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ সকাল ৬টায় সুগন্ধা, বিষখালী ও ধানসিঁড়ি তিনটি নদীর পানির প্রবাহ বিপৎসীমার ২.০৮ সেন্টিমিটার থেকে ২.১০ সেন্টিমিটারে পৌঁছায়। তবে সকাল ৯টায় ১.৮০ সেন্টিমিটারে নেমে আসে।
তিনি আরও বলেন, কাঁঠালিয়ার প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে একটি টিম পাঠানো হয়েছে। গতকাল কিছু জায়গায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। কাঁঠালিয়ার পরিস্থিতি ও পানির পরবর্তী পরিমাপ দুপুর ২টায় জানা যাবে।
এর আগে জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী ঢাকা পোস্টকে জানান, জেলায় ৫৫০টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা, ২ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেড, ২০০ মেট্রিক টন চাল মজুদ আছে। এ ছাড়া ৩৬টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কাঁঠালিয়ার শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, শৌলজালিয়ার কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারব আমরা।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার সুগন্ধা নদীতীরের পৌরসভা খেয়াঘাট এলাকার বাসিন্দা আলো মাঝি বলেন, নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে, রাতে পানি বেড়ে ডিসি পার্ক ও পৌর মিনি পার্কে ঢুকে পড়েছিল।
সদর উপজেলার চরভাটারাকান্দা এলাকার বিষখালী নদীতীরের বাসিন্দা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই নদী উত্তাল। যেকোনো সময় ঘরের ভেতর পানি উঠতে পারে। আমাদের কাছাকাছি সাইক্লোন শেল্টার আছে, পরিস্থিতি বুঝে সেখানে আশ্রয় নিব।
ইসমাঈল হোসাঈন/এসপি