পিরোজপুরে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত ৫৫৭ আশ্রয়কেন্দ্র
উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরে আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় ৫৫৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩৫টি সাইক্লোন শেল্টার এবং ৩২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলায় প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। তারা জনসচেতনতায় মাইকিং করে মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার কাজও করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহকারী পরিচালক ও জেলার ইউনিট লেভেল অফিসার ইকবাল মাসুদ।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলায় প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পিরোজপুর জেলা ইউনিটের ইউডিআরটির ৩০ জন সদস্য ও বিভিন্ন উপজেলার ৩৫ জন সদস্য। এ ছাড়া এফবিএফ প্রকল্পের আওতায় ৫ নং সতর্কতা সংকেত এলে পূর্ববর্তী সময়ে শুকনো খাবার (চিড়া, গুড়, চিনি, পানি) ও শিশু খাদ্য বিস্কুট প্রস্তুত রয়েছে। করোনাকালীন মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক, স্যানিটাইজার ও সাবান বিতরণ করা হবে।
এদিকে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে জেলা দুুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে জেলা প্রশাসক বলেন, হতাহতের সংখ্যা শূন্যের কোঠায় রাখার লক্ষ্যে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে প্রতিটি ইউনিয়নে তাৎক্ষণিক আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া গোখাদ্য ও শিশু খাদ্যের জন্য সরকারি বরাদ্দ রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় সতর্কবার্তা জারি করার কার্যক্রম চলছে। প্রতিটি ইউনিয়নে মেডিকেল টিম গঠনেরও কাজ চলছে।
সিভিল সার্জন ডা. হাসনাত ইউসুফ জাকি বলেন, পিরোজপুর জেলায় আইভি এবং ওরস্যালাইন যথেষ্ট পরিমাণ মজুদ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ণিমার জোয়ারের দিন উপকূল অতিক্রম করবে, তাই জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য সম্ভাব্য সব কিছু করতে হবে।
আবীর হাসান/এসপি