ছাত্র আন্দোলনে দুই হত্যা মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে
মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শহরের ঢাকা রোডব্রিজ এলাকায় গুলিতে নিহত জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. ফরহাদ হোসেনকে হত্যা মামলায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা রাকিব শিকদারকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে খুলনার ফুলতলা থানার শিকিরহাট কয়লাঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত রাকিব শিকদার মাগুরা পৌরসভার বরুনাতৈল গ্রামের বাদশা শিকদারের ছেলে। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী এহসানুল হক বলেন, রাকিব শিকদার নামের ওই আসামি মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিহত মেহেদী হাসান রাব্বী এবং মো.ফরহাদ হোসেন হত্যা মামলার ১২ নম্বর আসামি। তিনি ঘটনার পরপরই আত্মগোপনে চলে যান এবং জেরিন সোহা নামক একটি জাহাজে চাকরি নেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খুলনার ফুলতলা থানার শিকিরহাট কয়লাঘাটে নোঙর করা ওই জাহাজ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়ে মাগুরা শহরের ঢাকা রোড পারনান্দুয়ালী ব্রিজের সামনে গুলিবিদ্ধ হন মেহেদী হাসান রাব্বী এবং মো.ফরহাদ হোসেন।
ছাত্রদল নেতা রাব্বী নিহতের ঘটনায় ১৩ আগস্ট তার ভাই ইউনুস আলী বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, বীরেন শিকদারসহ ১৩ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। এই মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১৫০ থেকে ২০০ জনকে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শ্রীপুর উপজেলার রায়নগর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে ফরহাদ হোসেনের নিহতের ঘটনায় তার পরিবার কোনো মামলা করেনি। তবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২১ আগস্ট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন সদর উপজেলার বিরপুর গ্রামের মো. জামাল হোসেন। মামলায় মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, মাগুরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীরেন শিকদারসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আরএআর