ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে স্বামী-স্ত্রীকে পেটানোর অভিযোগ
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিমুল ইসলাম মিরাজের বিরুদ্ধে মাসুদ হাওলাদার (৪০) ও তার স্ত্রী রত্না বেগমকে পিটিয়ে জখম এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রদল নেতাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আনোয়ার হাওলাদার (৪২) ও জুয়েল হাওলাদারকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মাসুদ হাওলাদারের উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও একই এলাকার বাসিন্দা মনিমুল ইসলাম মিরাজের বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন সোমবার সন্ধ্যার আগে মাসুম হাওলাদার তার বাড়ির পাশের ক্ষেত থেকে খড়কুটা আনার জন্য গেলে ছাত্রদল নেতা মনিমুল ইসলাম মিরাজের নেতৃত্বে ১৩-১৪ জন তার ওপর হামলা করে এবং এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে । একপর্যায়ে তাকে মাটিতে ফেলে বুকের ওপর লাথি মারে। এরপর কয়েকজন তাকে উপুর করে তার হাত ও পা চেপে ধরে লাঠি দিয়ে মাথা, পিঠ, উরু ও পায়ে আঘাত করে। শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। ঘটনাটি টের পেয়ে তার স্ত্রী রত্না বেগম স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে ছাত্রদল নেতা মিরাজসহ অন্যান্যরা তাকেও মারধর করে। একপর্যায়ে তাকে শ্লীলতাহানি করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এর আগে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিরাজের নেতৃত্বে তিন জামায়াতের কর্মীকে পিটিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রদল মিরাজকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও রহস্যজনক কারণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে ছাত্রদল নেতা মনিমুল মিরাজ বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ। উপজেলায় বিএনপির তিনটি গ্রুপ ও জামায়াত সক্রিয় রয়েছে। এই গ্রুপিংয়ের কারণে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। দুইজন আসামি ছিল, যদি আসামিদের পক্ষে অবস্থান নিতাম আমি ওই দুইজন আসামি ছিনিয়ে নিয়ে আসতে পারতাম। এ রকম পাওয়ার আমার ওইখানে ছিল। আমি আইনে প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
বাউফল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরিফুল ইসলাম সাগর/আরএআর