‘রাজনীতি করতে হবে মানুষের সেবার জন্য’
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেছেন, রাজনীতি করতে হবে মানুষের সেবার জন্য। রাজনীতি যদি সেবা না দেয়, সেই রাজনীতির দাম নাই। রাজনীতি যদি মানুষের ভালো না বাসে, সেই রাজনীতির দাম নাই। আমাদের মানবতা, আমাদের সততা, আমাদের আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করতে হবে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নের মুকুন্দিয়া মাঠে ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, আমরা এখন ক্ষমতার দরজার কাছাকাছি। সামনে আমাদের নির্বাচন। সেই নির্বাচনে আমাদের দাঁড়াতে হবে। আমাদের দায়িত্ব নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। আমি আমার নেতাদের বলি, রাজনীতি হচ্ছে মানুষের সেবা। আওয়ামী লীগ যা করেছে, আমরা যেন তা না করি। আওয়ামী লীগ যা করে তুমি যদি তাই করো তাহলে তাদের পরিণতি যেমন হয়েছে, তোমার পরিণতি তাই হবে। আওয়ামী লীগের মতন লুটপাটে আমার নেতারা যায় না।
তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের এখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় করতে হবে, কোট-কাছারি-আদালত সব কিছু সুন্দর করতে হবে। নতুন একটি বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে। তাই আমাদের শপথ নিতে হবে। একতাবদ্ধ থাকতে হবে। আমার দেশের মানুষ কষ্ট থাকে, তারা চিকিৎসা পায় না হাসপাতালে। একটা জামা কিনে দিতে পারে না তার সন্তানকে। তিনবেলা ভালো মতোন খেতে পারে না। কোর্ট-কাছারিতে সঠিক বিচার পাই না। কিন্তু আমার নেতারা লুটপাট করে না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, আমি স্পষ্ট করে একটা কথা বলে দিতে চাই, আমার দলের নেতাদের সৎ ও আদর্শবান হতে হবে। একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আসুন আমরা একসঙ্গে কাজ করি। আমরা বুঝি বাংলাদেশের মানুষ কষ্ট আছে। তাদেরকে আগে ঠিক করতে হবে।
আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, বহু আন্দোলন সংগ্রামের পর জেল খেটে, বহু দুঃখ-কষ্ট ভোগ করে, বহু বিপদ মাথায় নিয়ে বিগত ১৭ বছর আমরা আমাদের জীবন কাটিয়েছি। পরম করুণাময়ের কাছে শুকরিয়া জানাই, বহুদিন পর এই পাচুরিয়ার মাটিতে আপনাদের সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগ হলো। আমি যখন ২০০১ সালে এমপি হলাম, তার আগে আমি ১৫ বছর রাজবাড়ী পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলাম। টানা ২০ বছর আমি কিন্তু ক্ষমতায় ছিলাম। এই ২০ বছর আমাদের এই এলাকার আওয়ামী লীগের যারা নেতা ছিলেন তাদের সবার সঙ্গে আমরা খুব সুসম্পর্ক রেখেছিলাম। এমন কেউ বলতে পারবে না আমরা তাদের হয়রানি করেছি, অসম্মান করেছি।
আওয়ামী লীগের যিনি এমপি ছিলেন কাজী কেরামত আলী ও আওয়ামী লীগের যারা সিনিয়র নেতা ছিলেন তাদেরকেও আমরা সম্মান করেছি। অথচ ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে তারা আমাদের ন্যূনতম সম্মানটুকু করেনি। তারা সে সময় ক্ষমতায় এসে মনে করলো তারা আর ক্ষমতা থেকে যাবে না, এটা তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি। তারা আমাদের শত শত নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হলো। আমার নেত্রী বলেছিলেন, এই হাসিনার বিচার আল্লাহ করবে। আল্লাহ ঠিকই এর বিচার করেছেন।
জনসভায় জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এএমকে