ফের মৃদু শৈত্যপ্রবাহ পঞ্চগড়ে, বেড়েছে শীতের তীব্রতা
এ বছর শীতে দুই রকমের তাপমাত্রায় বিপাকে পড়েছেন উত্তর জনপদের মানুষ। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত বরফ শীতল ঠান্ডা এবং সকালে ঝলমলে রোদ ওঠায় দিনের তাপমাত্রা হয় ২৫ থেকে ২৮ ডিগ্রির মধ্যে। তাপমাত্রার এই ওঠানামায় বাড়ছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। প্রতিদিন জেলার হাসপাতালগুলোতে ভিড় দেখা যায় সর্দি-জ্বর, ডায়েরিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগীদের।
তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার একদিন পর আবার ৯ ডিগ্রির ঘরে নেমেছে তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ তাপমাত্রায় আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়।
এদিকে গতকাল (৮ জানুয়ারি) সকালে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিকেল ৩টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘণ্টায় ৮-৯ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে এ অঞ্চলে। এ বাতাসে বরফ ঝরছে বলে জানাচ্ছেন এ অঞ্চলের মানুষ। দিনভর দেখা যায়নি সূর্যের মুখ।
আজ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৮টার পর থেকে মেঘ কেটে দেখা গেছে সূর্য। বাতাসের আর্দ্রতা শতকরা ৮৩ ভাগ। ঘণ্টায় ৮-৯ কিলোমিটার বেগে বইছে বাতাস। বাতাসের কারণে স্থানীয়রা শীতের গরম কাপড় পরে চলাফেরা করতে দেখা গেছে। মানুষের পাশাপাশি শীতল বাতাসে কষ্ট পাচ্ছে গৃহপালিত প্রাণীরাও।
বরফঝরা বাতাস প্রবাহের কারণে আয় রোজগার কমে গেছে নিম্নআয়ের মানুষদের। ঠিকমতো কাজে যেতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছেন ভ্যানচালক, পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিন মজুর থেকে নিম্নআয়ের মানুষ। তারা বলছেন, কয়েকদিন আগে শৈত্যপ্রবাহ গেছে, কিন্তু সকাল থেকেই ঝকঝকে রোদ থাকায় কাজ কাম করতে অসুবিধা হয়নি। এখন বাতাসের কারণে কাজে সমস্যা হচ্ছে, বাতাসে মনে হচ্ছে বরফ ঝরছে।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকে আবার তাপমাত্রা কমে ৯ ডিগ্রির ঘরে এসেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ তাপমাত্রায় আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়। বাতাসের কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে এ অঞ্চলে।
এসকে দোয়েল/আরকে