ছয় মাসেই কোরআনে হাফেজ ৯ বছরের হোসাইন
কুমিল্লায় হোসাইন আহমেদ নামে ৯ বছর বয়সী এক শিশু মাত্র ৬ মাসেই কোরআনে হাফেজ হয়েছেনে। গত রোববার (৫ জানুয়ারি) তাকে মাথায় পাগড়ি পরিয়ে হাফেজ হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
শিশু হোসাইন আহমেদ জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের বড়কান্দা গ্রামের মামুন মিয়ার ছেলে। সে বড়কান্দা এলাকার দারুল কোরআন নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষার্থী।
শিশু হোসাইন আহমেদের পরিবার ও মাদ্রাসার বরাত দিয়ে জানা গেছে, গ্রামের কিন্ডারগার্টেনে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় রাজমিস্ত্রীর ঠিকাদার বাবা মামুন মিয়া স্বপ্ন দেখেন ছেলেকে পবিত্র কোরআনের হাফেজ বানাবেন। বাবার সে স্বপ্ন পূরণে বছরখানেক আগে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেন। কায়দা ও আমপারা শেখার পর মাত্র ছয় মাসেই পবিত্র কোরআনের হিফজ সম্পন্ন করেছে ৯ বছ বয়সী হোসাইন। তার অর্জনে খুশি বাবা ও তার পরিবারের সদস্যরা। আনন্দিত শিক্ষকেরাও।
আরও পড়ুন
শিশুটির শিক্ষক হাফেজ মো. রিফাত হোসেন জানান, হোসাইন খুবই মেধাবী ও উদ্যমী। প্রায় এক বছর আগে তাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করানে হয়। এরপর কায়দা, আমপারা শেষ করে ছয় মাসেই কোরআনের হিফজ সম্পন্ন করে। তার এমন অর্জনে আমরা খুবই খুশি। মহান আল্লাহ তাকে অনেক বড় আলেম হিসেবে কবুল করুক, সেই দোয়া করেন তিনি।
মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুল জব্বার বলেন, হোসাইন বড়কান্দা আইডিয়াল স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। ওই কিন্ডারগার্টেনে পড়ার সময় গোমতী কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল হোসাইন। পরে তার বাবার স্বপ্ন ও ইচ্ছা পূরণে মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। ছেলেটি খুবই মেধাবী। সঠিকভাবে গড়ে তোলা গেলে একদিন বড় আলেম হবে। হোসাইন আহমেদও বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে পেরে খুবই খুশি। একজন বড় আলেম হতে সে সবার কাছে চেয়েছে।
শিশুটির বাবা মো. মামুন মিয়া বলেন, মহান আল্লাহ আমার ইচ্ছা পূরণ করেছেন। স্বপ্ন ছিল ছেলেকে হাফেজ বানানোর। তাই স্কুল থেকে ছেলেকে মাদ্রাসায় দিয়েছিলাম। মাত্র ছয় মাসে ছেলেটা আমার স্বপ্ন পূরণ করেছে। তার এই অর্জনে পরিবারের সবাই খুশি। আমি আমার ছেলের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
এআইএস