ভারত সীমান্তে বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও সেখানকার স্থানীয় লোকজন কর্তৃক হবিগঞ্জ চুনারুঘাট উপজেলার এক বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) হবিগঞ্জের বড় কেয়ারা সীমান্ত এলাকার ভারতের অংশে এক বাংলাদেশির মরদেহ পাওয়ার বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম।
নিহত জহুর আলী (৫৫) চুনারুঘাট উপজেলার পশ্চিম ডুলনা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত জহুর আলী ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিরাপত্তাপ্রহরী হিসেবে চাকরি করতেন। তিনি পাঁচ দিনের ছুটি নিয়ে ৫ জানুয়ারি বাড়িতে আসেন। ঢাকা থেকে আসার সময় গ্রামের হাট-বাজারে বিক্রির উদ্দেশে জহুর আলী অল্প মূল্যে কিছু লুঙ্গি কিনে নিয়ে আসেন। সেগুলো নিয়ে তিনি গতকাল সোমবার বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। আজ মঙ্গলবার সকালে চুনারুঘাটের বড় কেয়ারা সীমান্ত এলাকার লোকজন ভারতীয় সীমান্তের গৌরনগর এলাকায় এক ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে তার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে বাংলাদেশের অনেকেই ছবি দেখে চুনারুঘাট উপজেলার পশ্চিম ডুলনা গ্রামের জহুর আলীর বলে শনাক্ত করেন।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা সীমান্ত এলাকায় যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি, ভারতের খোয়াই পুলিশ নিহত ব্যক্তির মরদেহ ত্রিপুরার খোয়াই হাসপাতালের মর্গে নিয়ে গেছে। নিহত ব্যক্তি ঢাকার একটি কোম্পানিতে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন বলে জানা গেছে। তিনি গত ৫ জানুয়ারি ঢাকা থেকে হবিগঞ্জে আসেন। ভারতীয় বিএসএফ বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।
মাসুদ আহমদ রনি/এএমকে