‘অরক্ষিত রেল ক্রসিং, হুইসেল না দেওয়ায় ঘটে দুর্ঘটনা’
ফরিদপুরে রেলক্রসিংয়ে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটাকবলিত রেলক্রসিংটি ছিল অরক্ষিত। সেখানে কোনো গেট নেই। রেল সড়ক-সংলগ্ন রাস্তার দুই পাশে কয়েকটি দোকান ও গাছ রয়েছে। দোকানের কারণে হুইসেল না দিলে ট্রেন আসছে কি-না বোঝার উপায় নেই। ট্রেনটি গেট পাড় হওয়ার আগে কোনো হুইসেল দেয়নি। যতক্ষণে হুইসেল দিয়েছে, ততক্ষণে দুর্ঘটনা ঘটে গেছে।
ওই এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফরিদপুর সদরের গেরদা ইউনিয়নের মুন্সিরবাজারের ওই রেলক্রসিংটি একটি আঞ্চলিক সড়কের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। রেল সড়ক-সংলগ্ন রাস্তার দুই পাশে কয়েকটি দোকান ও গাছ রয়েছে। গেরদা বাজারের দিক থেকে সড়কটি মুন্সিবাজারের দিকে চলে গেছে। তবে দুই পাশে দোকান থাকায় এবং হুইসেল না দেওয়ায় ট্রেন আসার বিষয়টি বোঝা যায়নি। সতর্ক হতে পারেনি স্টেশনের কেউ। এ সময় মাইক্রোবাসটি রেলক্রসিং পার হতে রেল লাইনে উঠে পড়ে। হঠাৎ রেলগাড়িটি মাইক্রোবাসটিকে টেনে নিয়ে গেলে ঘটে এই দুর্ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাইক্রোবাসটি গেরদা থেকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ওঠার জন্য মুন্সিবাজারের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় রেল লাইনে উঠতেই ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ট্রেন গাড়িটিকে সামনের দিকে প্রায় ১০০ গজ ঠেলে নিয়ে যায়। পরে রেল লাইনের পাশে একটি পিলারে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটি পূর্বদিকে নিচের খাদে পড়ে যায়।
ফরিদপুর রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ওই রেল ক্রসিংটি অরক্ষিত। সেখানে কোনো গেট নেই। দোকানের কারণে হুইসেল না দিলে ট্রেন আসছে কিনা বোঝা যায় না। ট্রেনটি গেট পাড় হওয়ার আগে কোনো হুইসেল দেয়নি। তবে দুর্ঘটনার পর হুইসেল দিয়েছে। ততক্ষণে দুর্ঘটনাটি ঘটে গেছে।
ফরিদপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. তাকদির হোসেন বলেন, রেলস্টেশনটি অরক্ষিত থাকায় এবং হুইসেল না দেওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটে। যদিও সেটি অবৈধ রেলক্রসিং। তিনি বলেন, ওই রেলক্রসিংটিকে রক্ষিত করা এবং সেখানে একজন লোক নিয়োগ করা যায় কিনা সেটি ঢাকা রেলওয়েকে জানাবো।
জহির হোসেন/এএমকে