ফরিদপুরে জোড়া খুনের মামলার ৩৫ আসামি কারাগারে
ফরিদপুরের বোয়ালামলীতে জোড়া খুনের মামলার ৩৫ জন আসামি দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। তবে আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুরের আট নম্বর আমলি আদালতের বিচারক সরোয়ার আহমেদ এ আদেশ দেন।
জামিনের আবেদন নাকচ হওয়া আসামিদের মধ্যে তারেক ইসলাম (২৮), আবু খালাসী (৫৫), ভূগোল খালাসী (২৭), নাজিম খালাসী (৩৭), জাকির খালাসী (৩২) প্রমুখ রয়েছেন। এরা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক ও কর্মী।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘোষপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান পুবিলা গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক মো. ফারুক হোসেনের সঙ্গে গোহাইলবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা জামান সিদ্দিকীর বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জেরে ২০২২ সালের ৩ মে ঘোষপুর ইউনিয়নের গোহাইল বাড়ি ঈদের নামাজের পরে ফারুকের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে খাইরুল শেখ (৪৫) ও আকিদুল শেখকে (৪২) কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
হত্যার ঘটনায় নিহতদের চাচাতো ভাই মোস্তফা জামান সিদ্দিকী ১০৮ জনের নাম উল্লেখ করে বোয়ালমারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক ইউপি চেযারম্যান মো. ফারুক হোসেনকে এক নম্বর আসামি করা হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী শেখ কুবাদ হোসেন বলেন, জোড়া খুনের মামলায় মো. ফারকু হোসেনসহ ৭৩ জন আসামি বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হয়ে কিংবা আদালতে আত্মসমর্পন করেছেন। ইতোমধ্যে অনেকে জামিনে মুক্তি পেয়ছেন।
তিনি বলেন, তবে এই ৩৫ জন আসামি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। আজ রোববার তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান। তবে আদালত তাদের আবেদন নাকচ করে দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে পুলিশের প্রহরায় তাদের জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
জহির হোসেন/এএমকে