বাগমারায় দেয়াললিখন, আ.লীগের ১০ নেতা-কর্মী আটক
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, আটকদের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া রাতের আঁধারে দেয়ালে আওয়ামী লীগের স্লোগান লেখার বিষয়ে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে বেশ কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বাগমারা উপজেলা সদরসহ আশপাশের এলাকার দেয়ালে দেয়ালে ও বিএনপি নেতাদের প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে হঠাৎ আওয়ামী লীগের স্লোগান লেখা হয়। গত শুক্রবার সকাল থেকে লেখাগুলো নজরে আসে। এরপর বিএনপি ও যুবদল এই ঘটনায় জড়িত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গত দুই দিন মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। শনিবার রাতে পুলিশের একটি দল উপজেলার ঝিকড়া ইউনিয়নের মদাখালি বাজারে অভিযান চালায়। সেখান থেকে চায়ের দোকানি মকছেদ আলী (৪৮), বড় বিহানালী ইউপির সাবেক সদস্য আবু বাক্কার (৫৫) ও আওয়ামী লীগের কর্মী জাহাঙ্গীর আলমকে (৫৬) আটক করে পুলিশ।
এ ছাড়া রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন- বড় বিহানালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু বাক্কার (৪৪), শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি শেখ ফরিদুল রিপন (৩৫), ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন (৩০), মাড়িয়া ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কামাল হোসেন (৪৫), হামিরকুৎসা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিমুল হক ওরফে রিকো (৩২), তাহেরপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হোসেন (৪৮), শুভডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য শরীফ মাহমুদ (৩২) ও ঝিকড়া যুবলীগের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম (২৪)।
বাগমারা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে গত ৫ আগস্ট উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতের অভিযোগ রয়েছে। ওই সব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার দুপুরে আদালতে তোলা হবে।
দেয়ালে লেখার বিষয়ে তিনি বলেন, ওইসব এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করছে পুলিশ। পুলিশ আগে থেকে তৎপর রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
শাহিনুল আশিক/এমজেইউ
