রোদ ঝলমলে পঞ্চগড়, তবুও তাপমাত্রার পারদ ৯ ডিগ্রির ঘরে
ভোরে ঝলমলে রোদ ছড়াচ্ছে পূবালী সূর্য। আগের থেকে কমেছে তীব্র শীতের মাত্রা। জনমনে ফিরেছে কিছুটা স্বস্তি। রোববার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল শনিবার (৪ জানুয়ারী) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে রেকর্ড হয়েছিল ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোরেই কুয়াশা ও মেঘমুক্ত আকাশে উঠতে দেখা গেছে পূবালী সূর্য। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের কিরণের তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় কমেছে গত দিনের চেয়ে শীতের তীব্রতা। ঝলমলে রোদ থাকায় সকাল থেকেই দেখা গেছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশাজীবীদের কর্মচাঞ্চল্যতা। যে যার মতো কাজে ছুটেছেন স্বস্তি নিয়েই। সন্ধ্যার পর হিমেল বাতাসে বাড়তে থাকে শীতের প্রকট। রাত ৯-১০টার পর শহরের হাটবাজারগুলোতে কমতে থাকে জন কোলাহল।
স্থানীয়রা বলছেন, ভোরেই দেখা মিলছে সূর্যের রোদ। আগের মতো ভোর সকালে খুব যে ঠান্ডা লাগতো সেটা নেই। যার কারণে কাজ করতে সুবিধা হয়েছে। তবে রাতের বেলায় মনে হয় তাপমাত্রা জিরোতে নেমে আসে। পায়ের তলার মাটিও বরফের মতো লাগে। এমন ঠান্ডা, সহ্য করা যায় না।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ রোববার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে রেকর্ড হয়েছিল ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে যেসব এলাকায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে সেসব এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। সে হিসেবে গত তিন দিন ধরে উত্তরের এ প্রান্তিক জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এছাড়া হিমালয়ের হিম বায়ু এ এলাকায় সরাসরি প্রবেশ করায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আকাশে মেঘের পরিমাণ কমে গেছে। ফলে সকালেই সূর্যের দেখা মিলেছে।
এসকে দোয়েল/আরকে